অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স গঠিত হয়েছে : মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ১৯ জুলাই : ত্রিপুরায় অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। অনুপ্রবেশ রোধে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। আজ রাজবাড়িতে ঐতিহ্যবাহী কের পূজায় অংশগ্রহণ করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অনুপ্রবেশ নিয়ে এমনটাই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক (ডা.) মানিক সাহা।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ পর্যন্ত যে বা যারা আফগানিস্তান,পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ভারতে পরিযায়ী হিসেবে এসেছেন তাঁদেরকে মান্যতা দেওয়া হবে। তারপর আসা পরিযায়ীদের মান্যতা দেওয়া হবে না। কারণ, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে বসবাসকারী সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন করা হচ্ছে। একথা, ত্রিপুরায় কোনোভাবেই অনুপ্রবেশ কোনোভাবে কাম্য নয়। এমনকি, রাজ্যের সমস্ত জেলা শাসক, পুলিশ আধিকারিকদের নজরদারিও বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অনুপ্রবেশ নিয়ে প্রতিনিয়ত নিরাপত্তা বাহিনী এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সাথে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছেন। তাঁদের প্রচেষ্টার কারণে অনুপ্রবেশের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। কয়েক মাসে রাজ্যে অনুপ্রবেশ খুব বেশি বাড়েনি বরং কিছুটা কমেছে।

এদিন ঐতিহ্যবাহী কের পূজা নিয়ে বলেন, কের পূজা শুধুমাত্র একটি উৎসব নয়, এটি ত্রিপুরার আধ্যাত্মিক এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পর্ক রয়েছে। মূলত, খারচি পূজার পরবর্তী আধ্যাত্মিক পরবর্তী ধাপ হিসেবে কের পূজা শুরু হয়। যা খারচি পূজার শেষ হওয়ার ১৪তম দিন থেকে শুরু হয়। এটি এক কঠোর আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আয়োজিত হয়। যা প্রাচীন বিশ্বাস ও প্রথাগুলিকে সংরক্ষণ করে। আগরতলা রাজবাড়ি সহ নির্দিষ্ট কিছু এলাকা যেখানে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়।

সাথে তিনি যোগ করেন, কের পূজা শুধুমাত্র ত্রিপুরার আদিবাসী ঐতিহ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি সমস্ত নাগরিকের জন্য একতা ও সমষ্টিগত কল্যাণের প্রতীক। এই পূজা মানুষকে একত্রিত করে। রাজ্যের সামাজিক ঐক্য গঠনে যে ভূমিকা পালন করে।