২৬৬ কোটি টাকার জাল ইনভয়েস ও ৪৮ কোটি টাকার ভুয়ো ট্যাক্স ক্রেডিট কেলেঙ্কারিতে ছয়টি শেল কোম্পানির সন্ধান, মূলচক্রী গ্রেপ্তার

নয়াদিল্লি, ১১ জুলাই : বেঙ্গালুরুতে শুরু হওয়া একটি মামলার তদন্তের ধারাবাহিকতায় জিএসটি গোয়েন্দা দপ্তরের (ডিজিসিআই) বেঙ্গালুরু জোনাল ইউনিট দিল্লির ছয়টিরও বেশি স্থানে তল্লাশি অভিযান চালায় এবং সেখানে ২৬৬ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের জাল ইনভয়েস উদ্ধার করে। এই জালিয়াতি শেল কোম্পানিগুলির মাধ্যমে ৪৮ কোটি টাকার ভুয়ো ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট (আইটিসি) দাবি ও হস্তান্তরের সঙ্গে যুক্ত।

এই শেল কোম্পানিগুলির কোনও রকম বাস্তব ব্যবসায়িক কার্যকলাপ ছিল না। তারা সার্কুলার ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে টার্নওভার কৃত্রিমভাবে বাড়িয়ে তোলে, একটি কোম্পানিকে শেয়ার বাজারেও তালিকাভুক্ত করে এবং পরে আইটিসি জালিয়াতিতে লিপ্ত হয়।

তদন্তে জানা যায়, চারটি কোম্পানি যাদের কোনও প্রকৃত ব্যবসা ছিল না, তারা শত কোটি টাকার পণ্য ও পরিষেবা পাওয়ার তথ্য দেখিয়েছে। প্রাথমিকভাবে, এই জালিয়াতির মূলচক্রী ছিলেন একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট বা স্ট্যাচুটরি অডিটর, যিনি এসব কোম্পানির লেনদেন পরিচালনা করতেন।

আরও তদন্তে দেখা যায়, কোম্পানিগুলির গঠন ও শেয়ারহোল্ডিং প্যাটার্ন এবং তাতে পরিবর্তনের সময় এই সিএ বা অডিটর স্বয়ং কিছু কোম্পানির ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেছেন, যা এই ছয়টি শেল কোম্পানির পেছনে তার সরাসরি ভূমিকার প্রমাণ দেয়।

এই সংস্থাগুলির অফিসে তল্লাশির সময় মূলচক্রীর কাছ থেকে ইনভয়েস, সিলসহ একাধিক আসল নথি উদ্ধার করা হয়েছে। মামলার মূলচক্রীকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ডি.জি.জি..আই বেঙ্গালুরু জোনাল ইউনিট এই প্রতারণার বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ও গভীর তদন্ত শুরু করেছে, কারণ এর সঙ্গে তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে বিনিয়োগকারী নিরীহ জনগণের স্বার্থ জড়িয়ে আছে।

এই ধরনের জিএসটি জালিয়াতির ধরণ, যেখানে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলি সার্কুলার ট্রেডিং ও ভুয়ো আইটিসি ব্যবহার করছে, তা চিহ্নিত করে সম্প্রতি ‘সেবি’ আইনের অধীনে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সেবি-কে নির্দিষ্ট তথ্য সরবরাহ করেছে ডি.জি.জি.আই।