তেলিয়ামুড়া, ৮ জুলাই:
৯ জুলাই কেন্দ্রীয় ১০টি ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘটের বিরোধিতায় আজ ২৯ কৃষ্ণপুর মন্ডলের উদ্যোগে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বিজেপি ২৯ কৃষ্ণপুর মন্ডল কার্যালয়ে। এই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল ধর্মঘটকে ব্যর্থ করা এবং সাধারণ মানুষকে সচেতন করা যে, এই ধরনের ধর্মঘট জনজীবনের ক্ষতি ছাড়া আর কিছুই নয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী তথা কৃষ্ণপুরের বিধায়ক বিকাশ দেববর্মা।
তিনি বলেন, সিপিআইএম-এর এই ধর্মঘট শুধুমাত্র জনজীবনে ভোগান্তি ও আর্থিক ক্ষতির কারণ হবে। এই ধর্মঘটের কোনো দাবিই জনকল্যাণমুখী নয়, বরং তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি জনগণকে আহ্বান জানান যাতে তারা স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বজায় রাখে এবং এই বিভ্রান্তিমূলক ধর্মঘটকে প্রত্যাখ্যান করে।
এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ডল সভাপতি ধনঞ্জয় দাস, সহ-সভাপতি গোপাল দাস, প্রাক্তন খোয়াই জেলা যুব মোর্চার সভাপতি ইন্দ্রজিৎ সাহা, মন্ডলের অন্যান্য নেতৃত্ব, শক্তি কেন্দ্র ও বিভিন্ন বুথের কর্মকর্তা, যুব মোর্চার কর্মীবৃন্দসহ বহুজন। বৈঠকে ধর্মঘটের বিরোধিতায় যে মূল যুক্তিগুলি তুলে ধরা হয় তা হলো – নতুন শ্রম কোডগুলি শ্রম আইনকে সহজ, স্বচ্ছ ও আধুনিক করেছে, যা বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে সহায়ক। পুরনো পেনশন স্কিম সরকারকে আর্থিকভাবে চাপে ফেলত, যেখানে বর্তমানের এনপিএস অনেক বেশি টেকসই এবং যৌথ সঞ্চয়নির্ভর। বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল প্রতিযোগিতা ও বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়িয়ে পরিষেবার মানোন্নয়ন ঘটাবে। আর সর্বোপরি, ধর্মঘট ডেকে সমস্যা মেটানো যায় না, বরং তা দেশের উৎপাদন ব্যাহত করে এবং সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগে ফেলে।
বৈঠকে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ সকলে এই ধর্মঘটকে ব্যর্থ করার জন্য সক্রিয় অংশগ্রহণের অঙ্গীকার করেন এবং আগামীকাল সাধারণ মানুষের পাশে থেকে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার আশ্বাস দেন।

