আগরতলা, ২ জুলাই : আগরতলা, ২ জুলাই : উত্তর জেলার বনদপ্তর ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে দুটি পৃথক স্থানে বিপুল পরিমাণ বেআইনি চেরাই কাঠ উদ্ধার করেছে।
ঘটনার বিবরণে ধর্মনগর মহকুমা বন আধিকারিক অশোক কুমার জানিয়েছেন, ভোর চারটা নাগাদ বন সুরক্ষা ইউনিটের সাথে যখন টহল দিতে গিয়েছিলেন তখন তারা দেখতে পান টিআর ০২ এল ১৫৫৭ নম্বরের একটি চোরাই সেগুন কাঠ বোঝাই বোলেরো পিকআপ গাড়ি দ্রুত গতিতে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে। সেই গাড়ির পেছন ধাওয়া করে উত্তর হুরুয়া গ্রামে গাড়িটিকে আটক করা হয়। তবে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কৃষি জমিতে উল্টে যায় এবং চালক পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে গাড়ি সহ চোরাই সেগুন কাঠ সেখান থেকে উদ্ধার করে ধর্মনগরে জেলা বন দপ্তরে নিয়ে আসা হয়।
এদিকে, তৎক্ষণাৎ চালক গাড়ি ফেলে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ৭০টি বিভিন্ন মাপের চেরাই সেগুন কাঠ। বাজারমূল্য আনুমানিক এক লক্ষ টাকা। বন দপ্তরের প্রাথমিক অনুমান, কাঠগুলো কোনও সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে বেআইনিভাবে কেটে মজুদ করা হয়েছিল এবং তা অসমে পাচার করার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। বর্তমানে গাড়িটি বন দপ্তরের জেলা কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে এবং বন সংরক্ষণ আইনে একটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি,তবে গোটা ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চলছে।
বন দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী দিনে এই ধরনের বেআইনি কাঠ পাচার রুখতে অভিযান আরও তীব্র ও কঠোর করা হবে। পরিবেশ রক্ষায় বন দপ্তরের এই সক্রিয় ভূমিকা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
দ্বিতীয় অভিযানটি হয় উত্তর ফুলবাড়ি এলাকায় আজির উদ্দিন নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে। সেখান থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ২০০ ফুট চেরাই কাঠ, যার মূল্য আনুমানিক তিন লক্ষ টাকা।
উভয় ঘটনায় বন আইনে মামলা রুজু হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। এখনও কাউকে গ্রেফতার করা না গেলেও বনদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। এই সাফল্যে খুশি জেলার পরিবেশপ্রেমীরা।
