বেলুচিস্তান: মানবাধিকার কর্মীদের কেকেচ জেলার আবদোয়ী সীমান্ত বন্ধ রাখার জন্য পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের কড়া সমালোচনা

কোয়েটা, ২৮ জুন : বেলুচিস্তানের মানবাধিকার কর্মীরা কেচ জেলার আবদোয়ী সীমান্ত ক্রমাগত বন্ধ রাখার জন্য পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তারা এটিকে ইসলামাবাদের অর্থনৈতিক শোষণের একটি পদ্ধতি বলে বর্ণনা করেছেন।
বেলুচিস্তানের মানবাধিকার সংস্থা বেলুচ ইয়াকজেহতি কমিটি জানিয়েছে, ১৯ মার্চ থেকে কেচের আবদোয়ী সীমান্ত বন্ধ রয়েছে। এর ফলে বেলুচিস্তানে শত শত পরিবারের আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস বন্ধ হয়ে গেছে। বিকল্প জীবিকার অভাব এবং ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সংকটের কারণে এই বন্ধের ফলে অনেক সম্প্রদায় ক্ষুধা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী, শ্রমিক এবং নাগরিকরা পরপর দ্বিতীয় দিনের মতো শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছেন। বিক্ষোভকারীরা অঙ্গীকার করেছেন যে, সীমান্ত পুনরায় খোলা না হওয়া এবং তাদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। বিওয়াইসি অভিযোগ করেছে যে, পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ আলোচনার পরিবর্তে বিক্ষোভ দমনের চেষ্টা করেছে। নিরাপত্তা বাহিনী লাঠিচার্জ এবং বলপ্রয়োগ করে বিক্ষোভকারীদের ভয় দেখানোর ও ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেছে।
বিওয়াইসি আরও বলেছে, এই দীর্ঘস্থায়ী সীমান্ত বন্ধ কেবল একটি লজিস্টিক সমস্যা নয়, বরং এটি নিয়ন্ত্রণের একটি বৃহত্তর পদ্ধতির অংশ, যেখানে অর্থনৈতিক চাপকে বশ করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। বেলুচিস্তানে, যেখানে দুর্নীতি ও অনুন্নয়ন ইতিমধ্যেই সুযোগ সীমিত করে দিয়েছে, সেখানে সীমান্ত বন্ধের ফলে একটি মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে যা সবাইকে প্রভাবিত করছে এবং হতাশা ক্রমশ বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে সীমান্ত খোলার আহ্বান জানিয়ে বিওয়াইসি নাগরিকদের অধিকারকে সম্মান জানাতে এবং শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে বলপ্রয়োগ বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে। তারা উল্লেখ করেছে যে, এই দাবিগুলি উপেক্ষা করলে ইতিমধ্যেই সংকটের দ্বারপ্রান্তে থাকা জনগণের মধ্যে অসন্তোষ ও প্রতিরোধ আরও গভীর হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
বেলুচিস্তানের জনগণ বর্তমানে পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে। বেলুচিস্তানের বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা বারবার প্রদেশে পাকিস্তানি বাহিনীর দমন-পীড়ন তুলে ধরেছে, যার মধ্যে বেলুচ নেতা ও নাগরিকদের বাড়িতে সহিংস অভিযান, বেআইনি গ্রেপ্তার, জোরপূর্বক গুম, ‘হত্যা ও ফেলে দেওয়া’ নীতি, জনশৃঙ্খলা অধ্যাদেশের অধীনে আটক এবং মিথ্যা পুলিশ মামলা দায়ের করা অন্তর্ভুক্ত।