নয়াদিল্লি, ২৭ জুন: লোকসভায় বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী আদিবাসী সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষায় তাঁর পরিকল্পনা এবং প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেছেন। কংগ্রেস শুক্রবার এমনই একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। ভিডিওটিতে তিনি আদিবাসী নেতাদের গড়ে তোলার প্রয়াস এবং ডিজিটালাইজেশনের ফলে জমির মালিকানা হারানোর বিরুদ্ধে তাঁদের লড়াইয়ে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
প্রায় ছয় মিনিটের ওই ভিডিওতে রাহুল গান্ধী বলেন, আমার আগ্রহ হল আদিবাসী নেতাদের গড়ে তোলা। আমরা চাই সক্রিয়, সৎ ও সম্প্রদায়ের জন্য কাজ করতে আগ্রহী দলিত, ওবিসি ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের নেতাদের সাথে আদিবাসী নেতারাও সামনে আসুন এবং জেলা সভাপতির পদে আসীন হোন।
তিনি জানান, আমরা গুজরাটে একটি পরীক্ষামূলক উদ্যোগ শুরু করেছি যেখানে ৪১টি জেলার সভাপতি নিয়োগ করা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, এই নেতৃত্ব একত্রিত হয়ে আরও বলিষ্ঠ কণ্ঠে কথা বলবে এবং সময়ের সাথে পরিস্থিতি আরও উন্নত হবে। সাথে তিনি যোগ করেন, সারা দেশে জেলা সভাপতিদের আরও ক্ষমতাবান করা হবে যাতে তারা দল পরিচালনা করতে পারে, কংগ্রেসের আদর্শ বজায় রাখতে পারে এবং নতুন সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। দল তাদের আর্থিক সহায়তাও দেবে।
তিনি স্পষ্টভাবে জানান, আমরা চাই সিদ্ধান্ত গ্রহণ হোক আহমেদাবাদ বা বনাসকাঁঠার মতো জেলাগুলিতে — দিল্লি নয়। রাহুল গান্ধী বলেন, আমরা চাই প্রতিটি জেলায় ১০-১৫ জন আদিবাসী নেতাকে প্রস্তুত করা হোক, যারা মাটির সাথে যুক্ত, মানুষের সমস্যাকে বুঝতে পারেন এবং তাদের সমাধান দিতে পারেন।
ভিডিওতে তিনি আরও বলেন, জমি রেকর্ডের ডিজিটালাইজেশনের ফলে বহু আদিবাসী তাদের জমির অধিকার হারিয়েছেন। এই সমস্যার মোকাবিলায় ‘আদিবাসী আইন পরিষদ’ গঠনের প্রস্তাব ওঠে, যারা আদিবাসীদের জমির অধিকার নিয়ে আদালতে মামলা লড়বে। ২০০৬ সালের বন অধিকার আইন অনুযায়ী দেশে এখনও অনেক জায়গায় বন অধিকার কমিটি গঠন করা হয়নি, যা আদিবাসীদের অধিকার প্রয়োগে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে, সভায় ওই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।

