আগরতলা, ২৬ জুন: জনজাতি পরিচয়কে মজবুত করাই লক্ষ্য। এক্ষেত্রে, সবকা সাথ, সবকা বিকাশ লক্ষ্যকে বাস্তবায়ন করতে হলে জনজাতি এলাকার উন্নয়ন অত্যাবশ্যক। আজ রাজ্যের সকল অংশের জনগণের উদ্দেশ্যে এই বার্তা দিলেন বিদ্যুৎ, কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ।
জনজাতীয় গৌরব বর্ষ – ধরতি আবা জন ভাগীদারি অভিযান-এর অংশ হিসেবে আজ লেফুঙ্গা ব্লকে এক বিশেষ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এই কর্মসূচিতে জনজাতি সম্প্রদায়ের সক্রিয় অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা যায়। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, এই বিশেষ উদ্যোগের লক্ষ্য জনজাতি পরিচয়কে মজবুত করা, প্রশাসনে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
তাঁর দাবি, রাজ্য সরকার স্কুল , বাজার, সড়ক, হাসপাতাল, বিনামূল্যে রেশন, গৃহনির্মাণ ইত্যাদি প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে। আমরা লেফুঙ্গা স্কুলে যে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করেছি, সেটাই তার উদাহরণ। যদি আমরা জনজাতি এলাকাগুলির উন্নয়ন করি, তাহলেই ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ বাস্তবায়িত হবে। রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার একযোগে সেই লক্ষ্যে কাজ করছে।
সাথে তিনি যোগ করেন, রাজ্যে মাথাপিছু আয় বেড়েছে এবং বর্তমানে রাজ্য আর্থিক সংকটে নেই। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার জনসাধারণের কল্যাণে একাধিক প্রকল্প চালু করেছে, যার মধ্যে অন্যতম হল প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা। “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার সবাইকে নিয়ে কাজ করছে। আমরা কখনও রাজনৈতিক রং দেখে সুবিধা প্রদান করি না”, বলেন কৃষি মন্ত্রী। এই উপলক্ষে আধার কার্ড, পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট সার্টিফিকেট , বিবাহ সনদ ইত্যাদি জারি করা হয়। পাশাপাশি কৃষকদের মাঝে কৃষিযন্ত্রপাতি বিতরণ করা হয়। মন্ত্রী রতন লাল নাথ এদিন ৩০ জন জনজাতি তাঁতিকে তাঁতযন্ত্র বিতরণ করেন।

