বেঙ্গালুরু, ২১ জুন : আবারও ‘মে ডে’! এই আতঙ্ক যেন তাড়া করে বেড়াচ্ছে। কারণ, গৌহাটি-চেন্নাই বিমানের বেঙ্গালুরুতে জরুরি অবতরণ করতে হয়েছে। জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় পাইলট ‘মে ডে’ সংকেত দিয়েছিলেন। ফলে, অবতরণের বিকল্প হিসেবে বেঙ্গালুরু বিমান বন্দরকে বেছে নেওয়া হয়েছিল।
জানা গেছে, ১৬৮ জন যাত্রী নিয়ে গৌহাটি থেকে চেন্নাইগামী ইন্ডিগোর বিমান বৃহস্পতিবার রাতে চরম সংকটের মুখে পড়েছিল। জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় পাইলট ‘মে ডে’ সংকেত দেন এবং অবশেষে বিমানটি বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে।
ইন্ডিগো ফ্লাইট ৬ই-৬৭৬৪ (এ৩২১) গৌহাটি থেকে সন্ধ্যা ৪:৪০টায় উড়ে যায় এবং রাত ৭:৪৫ নাগাদ চেন্নাই বিমানবন্দরে অবতরণের সূচী নির্ধারিত ছিল। কিন্তু রানওয়েতে ল্যান্ডিং গিয়ার ছোঁয়ার পর পাইলট সিদ্ধান্ত নেন ‘গো অ্যারাউন্ড’ বা অবতরণ বাতিল করার—যা একপ্রকার ব্যাল্কড ল্যান্ডিং।
সুত্রের খবর, অবতরণের চেষ্টা ছিল ” আনস্টেবিলাইসড অ্যাপ্রোচ” এবং এরপর ৩৫ মাইল দূরে থাকা অবস্থায় পাইলট ‘মে ডে’ সংকেত পাঠান। বিমানের হঠাৎ ওঠানামা যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করে। এক যাত্রী বলেন, অনেকেই আতঙ্কে চিৎকার করে উঠেছিলেন, অনেকের মুখে ভয়ের ছাপ স্পষ্ট ছিল। বিমানবন্দরের ও এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-এর একাধিক সূত্র জানিয়েছে, পাইলট দ্বিতীয়বার অবতরণের চেষ্টা না করে সোজা বেঙ্গালুরু রওনা দেন।
সুত্রের দাবি, “সংকেত পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল গ্রাউন্ড স্টাফদের সতর্ক করে দেয়। মেডিকেল ও দমকল কর্মীরা প্রস্তুত ছিলেন। রাত ৮টা ২০ মিনিট নাগাদ বিমানটি বেঙ্গালুরুতে নিরাপদে অবতরণ করে। একটি সূত্র জানায়, “বিমানটি যখন ‘গো অ্যারাউন্ড’ করে, তখন তার কাছে বাধ্যতামূলক ‘**মিনিমাম ডাইভারশন ফুয়েল**’ ছিল না বলেই মনে হচ্ছে।” তবে ইন্ডিগোর পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়নি যে পাইলট সত্যিই ‘মে ডে’ সংকেত পাঠিয়েছিলেন কি না।
বেঙ্গালুরুতে অবতরণের পর, ফ্লাইট ক্রু ঘোষণা করেন বিমানটি জ্বালানি ভরার পর আবার চেন্নাই যাবে। পরবর্তীতে অন্য পাইলটদের পরিচালনায় বিমানটি রাত ১১টা ২৫মিনিট নাগাদ চেন্নাইতে অবতরণ করেছে।

