নয়াদিল্লি, ২১ জুন: ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন যে, পাকিস্তানের সঙ্গে ইন্দাস জলচুক্তি কখনোই পুনঃস্থাপন হবে না। তিনি বলেন, পাকিস্তান এই চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে এবং যে জল তারা এতদিন অযৌক্তিভাবে পাচ্ছিল, তা এবার বন্ধ করে দেওয়া হবে।
এক সাক্ষাৎকারে শাহ বলেন, না, এটি আর কখনোই পুনরায় কার্যকর হবে না। আন্তর্জাতিক চুক্তি একতরফাভাবে বাতিল করা যায় না, তবে আমরা এটিকে স্থগিত করার অধিকার রাখি এবং আমরা সেটাই করেছি। চুক্তির প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে এটি দুই দেশের শান্তি ও উন্নয়নের জন্য, কিন্তু যখন সেটি লঙ্ঘিত হয়েছে, তখন আর রক্ষা করার কিছুই থাকে না।
২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের ফাহলগামে জঙ্গি হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক গুরুতরভাবে অবনতি ঘটে। এই ঘটনার পর ভারত পাকিস্তানের নাগরিকদের বহিষ্কারের মতো একাধিক কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং ইন্দাস জলচুক্তি তাৎক্ষণিকভাবে স্থগিত করে।
শাহ আরও বলেন, আমরা সেই জল ব্যবহার করবো যা ভারতের অধিকার। যেটি এতদিন পাকিস্তানে চলে যাচ্ছিল, তা এখন আমরা রাজস্থানে নিয়ে আসবো একটি খাল নির্মাণ করে। পাকিস্তান যে জল এতদিন অন্যায্যভাবে পেয়ে এসেছে, এবার তারা তার অভাবে ভুগবে।
ফাহলগাম হামলাকে ‘শান্তি নষ্টের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত চক্রান্ত’ বলে অভিহিত
ফাহলগাম হামলাকে শান্তি নষ্টের উদ্দেশ্যে করা একটি ‘ইচ্ছাকৃত ষড়যন্ত্র’ বলে মন্তব্য করেন শাহ। তিনি বলেন, এই হামলার উদ্দেশ্য ছিল কাশ্মীরে বেড়ে ওঠা পর্যটন বন্ধ করা এবং তরুণদের বিভ্রান্ত করা। কিন্তু উপত্যকায় এর আগে এতটা ভারতীয় সংহতির ছবি দেখা যায়নি।
তিনি আরও জানান, পাকিস্তান যখন ভারতের বেসামরিক এলাকায় হামলা চালিয়েছিল, ভারত তখন পাল্টা জবাব দিয়ে তাদের বিমানঘাঁটিগুলি ক্ষতিগ্রস্ত করে। এই ঘটনার পরই পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি চায়।
শাহ বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, যারা ফাহলগাম হামলার জন্য দায়ী, তাদের শাস্তি দিতে সীমিত সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। এটি একটি নির্দিষ্ট সন্ত্রাসবাদী লঞ্চপ্যাডে আঘাত ছিল। কিন্তু পাকিস্তান এটিকে তাদের ভূখণ্ডে হামলা বলে ধরে নেয়, এবং এখানেই বিভাজনের রেখা মুছে যায়।”

