নয়া দিল্লি, ২১ জুন : ১১তম আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে বিজেপি সভাপতি ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জগৎ প্রকাশ নাড্ডা নতুন দিল্লির কর্তব্য পথ-এ যোগ অভ্যাসে অংশগ্রহণ করেন। তিনি বলেন, “যোগ আত্মা ও পরমাত্মার মিলনের একমাত্র পথ। এটি শুধু শারীরিক নয়, মানসিক ও আধ্যাত্মিক সুস্থতার মাধ্যম।” তিনি সবাইকে সুস্থ জীবনধারার জন্য যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।
গুজরাটের রাজ্যস্তরীয় যোগ দিবস উদযাপন হয় ঐতিহাসিক ও প্রাচীন শহর ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মস্থান, ওডনগর-এর শর্মিষ্ঠা হ্রদে। অনুষ্ঠানে নেতৃত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল। তিনি সাধারণ মানুষকে প্রতিদিন যোগ অভ্যাসে উদ্বুদ্ধ করেন। এছাড়া, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আহমেদাবাদের প্রহ্লাদনগরে যোগ দিবসের এক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
গুজরাট সরকার রাজ্য যোগ বোর্ড এবং যুব ও সংস্কৃতি দফতরের সমন্বয়ে ৬০,০০০-এরও বেশি স্থানে সম্মিলিত যোগ সেশন আয়োজন করে। কচ্ছের ধোলাভিরা ও পাটণের রানির ভাও-এর মতো ঐতিহ্যবাহী স্থানেও যোগ দিবস পালিত হয়।
কাশ্মীর অঞ্চলের ১০টি জেলাতেই লাখ লাখ মানুষ যোগ দিবসে অংশ নেন। শ্রীনগরের ডাল লেকের তীরে অবস্থিত শের-ই-কাশ্মীর আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সেন্টারে আয়ুষ দফতরের উদ্যোগে এক বৃহৎ অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রী সাকিনা ইটো। তিনি বলেন, “যোগ সব বয়সের মানুষের জন্য উপযোগী এবং এটি মানুষকে শারীরিক, মানসিক ও আবেগগতভাবে সুস্থ রাখে।” লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা তাঁর বার্তায় যোগের মাধ্যমে মানসিক চাপ কমানোর গুরুত্ব তুলে ধরেন।
বিশাখাপত্তনম-এ যোগ দিবস উদযাপন হয়ে উঠেছে এক ঐতিহাসিক ঘটনা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী নারা চন্দ্রবাবু নাইডু আজ সকালে আর.কে. বিচ থেকে ভীমুনিপত্তনম পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূলবর্তী অঞ্চলে যোগ সেশনের নেতৃত্ব দেন। এতে ৩ লক্ষেরও বেশি মানুষ একসঙ্গে যোগ করেন, যা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্থান পেয়েছে ‘বিশ্বের বৃহত্তম খোলা স্থানে যোগ সেশন’ হিসাবে।
এর পাশাপাশি, গতকাল ২২,১২২ জন আদিবাসী ছাত্র একসাথে বিশাখাপত্তনমের অন্ধ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে সূর্য নমস্কার অনুশীলন করে আরও একটি গিনেস রেকর্ড গড়ে।
আজ গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ রাজ্যের আইটি ও শিক্ষা মন্ত্রী এন. লোকেশ-কে এই দুটি অর্জনের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে শংসাপত্র প্রদান করেন। তিনি মাসব্যাপী ‘যোগঅন্ধ্র’ অভিযান পরিচালনা করেন, যার মাধ্যমে প্রায় ২ কোটি মানুষ যোগ প্রশিক্ষণ লাভ করে।
যোগ এখন শুধু ভারতীয় ঐতিহ্যের প্রতীক নয়, বিশ্বজুড়ে মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার মূলমন্ত্র হয়ে উঠেছে। আজকের অনুষ্ঠানগুলি প্রমাণ করল, ভারত যোগের মাধ্যমে বিশ্বকে একটি সুস্থ ও শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের পথ দেখাচ্ছে।
2025-06-21

