আগরতলা, ২০ জুন : ত্রিপুরার চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৬ শতাংশ বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। তাতে প্রাপ্তবয়স্ক কর্মীদের ১৭৬ টাকা থেকে ২০৪ টাকা এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক কর্মীদের ৮৮ টাকা থেকে ১০২ টাকা মজুরি বৃদ্ধি হয়েছে। আজ সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন মন্ত্রী টিংকু রায়।
এদিন শ্রী রায় বলেন, ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে চা বাগানের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরির হার, সর্বশেষ সংশোধিত এবং বৃদ্ধি হয়েছিল। ওই সময় প্রাপ্তবয়স্ক দের ১০৫ টাকা থেকে ১৭৬ টাকা এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক দের ৫২.৫০ টাকা থেকে ৮৮ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছিল।
তাঁর কথায়, সম্প্রতি, চা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সংশোধনের দাবির ভিত্তিতে রাজ্য সরকার, ৪৬-সুরমা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়িকা স্বপ্না দাস পালের সভাপতিত্বে, ছয় মাসের জন্য ১০ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। ত্রিপুরার চা বাগানের কর্মসংস্থানে কর্মরত শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরির হার সংশোধনের সুপারিশ করার সময় এই কমিটিকে সমস্ত দিক বিবেচনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কমিটি ন্যূনতম মজুরির হার সংশোধনের সাথে সম্পর্কিত বিদ্যমান সকল ধরণের কাজের ধরনগুলিও বিবেচনা করবে। তাই গত ২৮ মে চা শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরি সংশোধনের জন্য স্বপ্না দাস পাল মহোদয়ার সভাপতিত্বে ও অন্যান্য সদস্যদের উপস্থিতিতে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা চা উন্নয়ন কর্পোরেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান সমীর রঞ্জন ঘোষ, সঞ্জয় বাগচী, সচিব, সুরমা ভ্যালি শাখা ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশন শিলচর, আসাম এবং জয়দেব সরকার, সভাপতি, কে.কে. নগর টি. এস.এস.এস. লিমিটেড।
তাই কমিটি সার্বিক দিক বিবেচনা করে, রাজ্যের চা বাগান শ্রমিকের স্বার্থে ন্যূনতম মজুরির হার ১৬ শতাংশ বৃদ্ধি করার সুপারিশ করেছে। অর্থাৎ প্রাপ্তবয়স্ক কর্মীদের ১৭৬ টাকা থেকে ২০৪ টাকা এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক কর্মীদের ৮৮ টাকা থেকে ১০২ টাকা বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে। পরবর্তী পর্যায়ে ওই সুপারিশমূলে রাজ্য সরকার চা বাগানে কর্মরত শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির অনুমোদন প্রদান করেছে, বলে জানান তিনি।

