তেল আভিভ, ২০ জুন: ইসরায়েলের বেয়ারশেভা শহরের সোরোকা হাসপাতালে ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আহত হয়েছেন একাধিক রোগী, চিকিৎসক ও হাসপাতালের কর্মীরা। হামলার নিন্দা জানিয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু একে বেসামরিক নাগরিকদের উপর নির্লজ্জ আক্রমণ বলে উল্লেখ করেছেন।
সোরোকা হাসপাতাল পরিদর্শনের সময় নেতানিয়াহু বলেন, “আমরা নির্ভুলভাবে ইরানের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করছি, আর তারা একটি শিশু ও শিশুদের ওয়ার্ড-সহ হাসপাতালকে টার্গেট করছে। এটাই গণতন্ত্র ও সন্ত্রাসের পার্থক্য।”
তিনি আরও বলেন, “এই হাসপাতালের কাছেই শিশু এবং নবজাতক ওয়ার্ড। আমরা আইনগতভাবে নিজেদের রক্ষায় কাজ করছি, আর ওরা আমাদের একে একে ধ্বংস করতে চায়। এই হামলাই সব বলে দেয়।”
এদিকে, ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদেওন সা’আর কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়েদ আব্বাস আরাঘচিকে, যিনি দাবি করেছেন, সোরোকা হাসপাতালে হামলাটি ছিল একটি “ইসরায়েলি সামরিক সদর দফতর ও গোয়েন্দা কমান্ড সেন্টারের উপর নির্ভুল আঘাত”। গিদেওন সা’আর পাল্টা বলেন, “আরাঘচি, আপনি মিথ্যে বলছেন! আমি আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের নিয়ে সোরোকা হাসপাতালে ছিলাম। তারা নিজের চোখে দেখেছেন ইরানের বর্বর হামলার প্রভাব। এই হাসপাতাল ইহুদি, মুসলিম ও খ্রিস্টান – সবাইকেই চিকিৎসা দেয়।
অন্যদিকে আরাঘচি দাবি করেছেন, “আজ সকালে আমাদের শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী একটি ইসরায়েলি সামরিক কমান্ড ও গোয়েন্দা সদর দফতর এবং আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করেছে। এর প্রভাবে সোরোকা মিলিটারি হাসপাতালের কিছু অংশে হালকা ক্ষতি হয়েছে, যা অধিকাংশই খালি ছিল।” তিনি বলেন, হাসপাতালটি মূলত গাজায় অভিযুক্ত ইসরায়েলি সেনাদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়।
এই ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেন, “তেহরানের সন্ত্রাসী স্বৈরশাসকদের কাছ থেকে এই হামলার পূর্ণ মূল্য আমরা আদায় করব। তারা সোরোকা হাসপাতালে এবং দেশের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের বেসামরিক নাগরিকদের উপর ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে। তাদের জবাব অবশ্যই দেওয়া হবে।”এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে গেছে। আন্তর্জাতিক মহল পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।

