নতুন দিল্লি, ১৭ জুন: আত্মনির্ভর ভারতের প্রতীক হয়ে উঠছে দেশীয় ফাইটার জেট প্রকল্প। এই প্রজেক্টের অংশ হিসেবে ভারতের নিজস্ব উন্নয়নে তৈরি হচ্ছে ‘তেজস মার্ক-2’ যুদ্ধবিমান। সূত্রের খবর অনুযায়ী, হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড চলতি বছরের শেষ নাগাদ (নভেম্বর–ডিসেম্বর ২০২৫) এর প্রথম প্রোটোটাইপ উন্মোচন করবে এবং ২০২৬ সালের মধ্যভাগে এটি প্রথমবারের জন্য আকাশে উড়বে।
এইচএএলড জানিয়েছে, তেজস এমকে-2 এর প্রথম পর্যায়ে ৪টি টেস্ট এয়ারক্রাফ্ট তৈরি করা হবে এবং ২০২৯ সাল থেকে ব্যাপক উৎপাদন শুরু হবে। শুরুতে প্রতি বছর ১৬ থেকে ১৮টি ফাইটার জেট তৈরি করা হবে, পরবর্তীতে এই সংখ্যা বাড়িয়ে ২৪টি বার্ষিক করা হবে। এইচএএলড এর বেঙ্গালুরু ও নাসিক ইউনিটে ইতিমধ্যে প্রোডাকশন লাইন আপগ্রেডের কাজ চলছে।
তেজস মার্ক-2 হল তেজস এমকে-1 এর উন্নত সংস্করণ, যা ৪.৫+ জেনারেশনের মিডিয়াম ওয়েট ফাইটার। এতে থাকবে শক্তিশালী আমেরিকান F414 ইঞ্জিন, দেশীয়ভাবে তৈরি অ্যাডভান্সড এইএসএ রাডার, এবং আইআরএসটি (ইনফ্রারেড সার্চ অ্যান্ড ট্র্যাক) সিস্টেম। এই প্রযুক্তিগুলি যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দীর্ঘ দূরত্ব থেকে শত্রু শনাক্তকরণে সক্ষম।
এছাড়া, এই ফাইটার জেটে থাকবে লো-অবজারভেবিলিটি ডিজাইন, অর্থাৎ শত্রুর রাডার সহজে ধরতে পারবে না—এটা একে একটি আধা-স্টেলথ যুদ্ধবিমানে পরিণত করে।
ভারতীয় বায়ুসেনার পুরনো জাগুয়ার, মিরাজ ২০০০ এবং মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানের বদলে ধীরে ধীরে তেজস মার্ক-2 অন্তর্ভুক্ত করা হবে। প্রথম পর্যায়ে ১১০–১২০টি যুদ্ধবিমান অর্ডার করা হয়েছে, যা ছয়টি স্কোয়াড্রনকে শক্তিশালী করবে। ভবিষ্যতে এই সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই প্রকল্পে ৮২% বা তারও বেশি প্রযুক্তি সম্পূর্ণভাবে দেশীয়। এলএন্ডটি এবং টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেম-এর মতো সংস্থাগুলিও এই প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

