সোরাষ্ট্র ও কচ্ছ অঞ্চলে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা: আবহাওয়া দফতর

নয়াদিল্লি, ১৭ই জুন : আজ সোরাষ্ট্র ও কচ্ছ অঞ্চলে একাধিক স্থানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ। আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে অরুণাচল প্রদেশ, ছত্তিশগড়, উপকূলীয় কর্ণাটক, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাট, কোকণ, গোয়া, মধ্য মহারাষ্ট্র, ওড়িশা এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতেও মুষলধারে বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

এর পাশাপাশি, বিহার, ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থান রাজ্যগুলিতে আজ ঝড়ো হাওয়া ও তীব্র কালবৈশাখীর আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। রাজধানী দিল্লি এবং এনসিআর অঞ্চলেও ২০ জুন পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কর্ণাটকের উপকূলীয় জেলাগুলিতে গত কয়েক দিন ধরে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে তিন জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ভারী বৃষ্টির জেরে বাড়িঘরের ক্ষতি, বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন এবং পরিবহন ব্যবস্থায় অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।

বিশেষত উত্তর কন্নড় জেলায় অন্তত পাঁচটি স্থানে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও দক্ষিণ ও উত্তর কন্নড়, উদুপি, চিকমঙ্গলুর, কোডাগু ও শিভমোগা জেলার জনজীবন ব্যাহত হয়েছে। রাজ্যের একাধিক বাঁধে জলের স্তর উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে, যদিও বেঙ্গালুরু শহরে হালকা বৃষ্টি হয়েছে মাত্র।

বিহারে বজ্রপাতে প্রাণহানি, মনসুন আগমনের আগেই সতর্কতা
বিহারে গত ২৪ ঘণ্টায় বজ্রপাতে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এই মৃত্যুগুলি ঘটেছে রাজ্যের ৮টি জেলার বিভিন্ন অংশে। এর মধ্যে বক্সার জেলায় ৪ জন, পশ্চিম চম্পারণ ও কাটিহারে ৩ জন করে, এবং কেমুর, লখিসরাই, সীতামঢ়ি ও ভাগলপুরে ১ জন করে মারা গেছেন।

দক্ষিণ-পশ্চিম মনসুন আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিহারে প্রবেশ করতে চলেছে, এর আগে থেকেই রাজ্যে বৃষ্টি, কালবৈশাখী ও বজ্রপাতের প্রবণতা বেড়ে গেছে। রাজ্যের আপদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ নাগরিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

আবহাওয়া কেন্দ্র, পাটনার পরিচালক আশীষ কুমার জানিয়েছেন, বিহারে মনসুন প্রবেশের জন্য আবহাওয়া যথেষ্ট অনুকূল এবং এটি যে কোনো সময় প্রবেশ করতে পারে।

আবহাওয়া দফতরের তরফে জনগণকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, তারা যেন ঝড়, বজ্রপাত এবং ভারী বৃষ্টির সময় নিরাপদ স্থানে অবস্থান করেন এবং প্রয়োজনে জরুরি হেল্পলাইন নম্বর ব্যবহার করেন। পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও ত্রাণ বিভাগ প্রস্তুত রয়েছে।