আগরতলা, ১৪ জুন : ত্রিপুরা রাজ্যে দুইটি নতুন প্রজাতির কেঁচোর সন্ধান মিলেছে। নতুন প্রজাতি দুটি হল — Kanchuria tripuraensis ও Kanchuria priyasankari।
এই গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারটি সম্ভব হয়েছে রাজ্যের গবেষক দলের নেতৃত্বে হওয়া এক জাতীয়স্তরের যৌথ গবেষণার মাধ্যমে। গবেষণা দলটির নেতৃত্ব দিয়েছেন ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. অনিমেষ দে, যিনি ইকোলজি অ্যান্ড বায়োডাইভার্সিটি ল্যাবোরেটরির প্রধানও। তাঁর সঙ্গে কাজ করেছেন কেরালার গবেষক এস. প্রসান্ত নারায়ণন, আর. পালিওয়াল এবং অন্যান্য সদস্যরা।
প্রসঙ্গত, এই দুই কেঁচোর নমুনা প্রথম সংগৃহীত হয়েছিল ২০০৪ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে, ড. সব্যসাচী নাথ ও ড. অনিমেষ দে-র পিএইচ.ডি. গবেষণার সময়। তারা এই নমুনাগুলি রাজ্যের রাবার ও আনারস বাগান এলাকা থেকে সংগ্রহ করেছিলেন, তাঁদের তত্ত্বাবধানে ছিলেন কেঁচো গবেষণায় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অধ্যাপক প্রিয়াশঙ্কর চৌধুরী (অবসরপ্রাপ্ত)।
সম্প্রতি, একদল নবীন গবেষক পুনরায় এই প্রজাতিগুলির নমুনা সংগ্রহে সফল হন, যার ফলস্বরূপ আজ এই নতুন বৈজ্ঞানিক ঘোষণা। প্রথম নতুন প্রজাতি ‘Kanchuria tripuraensis’-এর নামকরণ করা হয়েছে রাজ্যের নাম অনুসারে, কারণ এই প্রজাতির প্রথম সন্ধান পাওয়া যায় ত্রিপুরা থেকেই।
অন্যদিকে, দ্বিতীয় প্রজাতি ‘Kanchuria priyasankari’-এর নামকরণ করা হয়েছে অধ্যাপক প্রিয়াশঙ্কর চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে। তিনি গত চার দশকেরও বেশি সময় ধরে কেঁচো গবেষণায় অবদান রেখে ত্রিপুরাকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গবেষণার মানচিত্রে স্থান দিয়েছেন। এই আবিষ্কার শুধু রাজ্যের জীববৈচিত্র্য চর্চার ক্ষেত্রে নয়, সারা দেশের জন্যই একটি গর্বের বিষয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

