আগরতলা, ১৪ জুন : কদমতলায় কবরস্থান থেকে বহু মূল্যের আগর গাছ কাটা’কে কেন্দ্র করে উত্তর ত্রিপুরা জেলার কদমতলা ব্লক এলাকার দক্ষিণ কদমতলা ৬ নং ওয়ার্ডে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ওই ঘটনায় তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
ঘটনার বিবরণে জানা গিয়েছে, ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের এক নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জুবের আহমেদ বয়স (৫২)পিতা মৃত ওয়ারিছ আলী গতকাল বিকেলে তার সাথে দু’জন কে নিয়ে কবরস্থান থেকে বিশাল আকারের একটি আগর গাছ কাটতে গেলে বিষয় টি মাজার কমিটি এবং এলাকাবাসীর নজরে আসলে ঘটে বিপত্তি। স্হানীয়দের দাবি, গাছটি চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিল জুবের সহ তার সঙ্গে থাকা নজরুল ইসলাম ও হালিম উদ্দিনরা। সেই অভিযোগে তাদেরকে আটক করা হয়। সে সময় জুবেরের লোকজন ছুটে আসলে দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।পরে কদমতলা থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে তাদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
তখন পুলিশ এত বৃহৎ আকারের উঁচু আগর গাছ টি থানায় নিয়ে যেতে না পারায় স্হানীয় জালাইবাড়ী যুব সংকল্প ক্লাব কর্তৃপক্ষের কাছে রেখে অভিযুক্ত তিনজনকে কদমতলা থানার নিয়ে যায়।এদিকে অভিযুক্ত জুবের আহমেদের দাবি গাছটি যে জায়গা থেকে কাটা হয়েছে সেই জায়গা উনার বাপ দাদুর সম্পত্তি।এবং তাদের বেশ কয়েকজনের নামে রয়েছে,যেখানে অংশীদার হিসেবে তিনি নিজেও রয়েছেন।
তাছাড়া, বাকি অংশীদাররা তার কাছে বাকি অংশ গুলি বিক্রি করে দিয়েছেন,যার এগ্রিমেন্ট বায়না পত্র,রেজিস্ট্রারী সবকিছুই রয়েছে উনার।তাই তিনি তার সঙ্গে থাকা দু’জন কে হাজিরা হিসাবে কাজে নিয়ে দিনের আলোতে নিজের ভুমি থেকে গাছ কাটতে গেলে কতিপয় আগর ব্যবসায়ী ও স্হানীয় ক্লাব সদস্যরা নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থদের জন্য চুর অপবাদ দিয়ে তাদেরকে আটক করার চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে থানার নিয়ে আসে।তাই পুলিশ বিষয় টি সঠিক তদন্ত করে তার নিজের জায়গায় থাকা আগর গাছটি ফিরিয়ে পাওয়ার আবেদন জানায় জুবের।
এদিকে বিষয়টি বিস্তারিত উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে জুবের আহমেদ এর পরিবার। অপরদিকে পাল্টা চুরির অভিযোগ দায়ের করেন স্হানীয় ক্লাব সদস্য সহ অপর পক্ষ। এখন দেখার বিষয় পুলিশি তদন্তে কি বেরিয়ে আসে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,জমি বিবাদ নিয়েই ঘটনার সুত্রপাত বলে মনে করছেন অনেকেই,কারণ দিনে দুপুরে এত সাহস করে কেউ চুরি করতে যাবে সেটা অনেকেই মানতে নারাজ।

