আগরতলা, ১১ জুন : ত্রিকোণ প্রেমের জেরেই খুন হয়েছে ইন্দ্রনগরের যুবক শরিফুল ইসলাম। আজ গন্ডাছড়া নারায়ণপুরের একটি পানের দোকানের ডিপ ফ্রিজ থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। রোমহর্ষক ওই ঘটনার সাক্ষী হয়েছে গোটা ত্রিপুরা। আজ দুপুরে আগরতলা থেকে পুলিশের একটি টিম গন্ডাছড়ায় গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছে গন্ডাছড়া পুলিশ ও ফরেন্সিক টিম। ওই হত্যাকাণ্ডে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে এন সি সি থানার পুলিশ। তার মধ্যে দুজন মহিলা বাকি চারজন পুরুষ। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানিয়েছেন পশ্চিম ত্রিপুরার পুলিশ সুপার ডঃ কিরণ কুমার কে।
ঘটনার বিবরণে পুলিশ সুপার ডঃ কিরণ কুমার কে বলেন, গত ৮ জুন রাতে ইন্দ্রনগরের যুবক শরিফুল ইসলামকে তাঁর বন্ধু ডা. দিবাকর সাহা দক্ষিন ইন্দ্রনগরের বাসিন্দা জয়দ্বীপ দাসকে উপহার দেওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। তাঁর পৌঁছানোর আগেই জয়দ্বীপের বাড়িতে নবনীতা দাস(২৫) এবং অনিমেষ যাদব (২১) নামে তাঁরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের উপস্থিতিতেই (ডা.) দিবাকার সাহা শ্বাসরুদ্ধ করে শরিফুল ইসলামকে হত্যা করেন। ত্রিকোণ প্রেমের জেরেই ওই হত্যাকান্ড হয়েছে বলে জানান তিনি। শরিফুল ইসলাম পেশায় স্মার্ট সিটির বিদ্যুৎ কর্মী হিসেবে কাজ করতেন।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ বছর ধরে নবনীতা দাস এবং শরিফুল ইসলামের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু তাঁদের মধ্যে নবনীতার সাথে প্রনয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ডা. দিবাকর সাহা। ফলে, শরিফুল ইসলামকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য তাঁর হত্যার রণকৌশল তৈরী করেন তাঁরা। গত ৯ জুন বাজার থেকে বড়ো একটি ব্যাগ কিনে আনেন দিবাকর সাহা। দিবাকর সাহার বাড়ি গন্ডাছড়ায়। তাঁর বাবা মা ওই বাড়িতেই থাকেন। আগরতলায় সে এক আত্মীয়ের বাড়িতে থাকতেন। পরের দিন সকালে গাড়ি করে গন্ডাছড়ায় তাঁর দিবাকরের বাবার দোকানের একটি ড্রীপ ফ্রিজে রেখে সবাই চলে আসে। ওই ঘটনায় গতকাল রাতে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ীই আজ গন্ডাছড়া থেকে তাঁর মৃতেদহ উদ্ধার হয়েছে।

