লাখ লাখ টাকার প্রতারণার অভিযোগে সাহিল খান গ্রেপ্তার, আগ্নেয়াস্ত্র ও ভুয়া নথিপত্র উদ্ধার

গুয়াহাটি, ১১ জুন: বহু ব্যক্তিকে প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্ত ২৭ বছর বয়সী সাহিল খানকে গুয়াহাটির কাহিলিপাড়ায় তার বিলাসবহুল ফ্ল্যাট থেকে ডিসপুর থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ডিব্রুগড় পুলিশ কর্তৃক মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকাভুক্ত এই প্রতারক বহু মানুষকে বিভিন্ন কৌশলে লক্ষাধিক টাকা থেকে বঞ্চিত করেছেন বলে অভিযোগ।

সাহিল খান মূলত ডিব্রুগড়ে প্রতারণার জাল বিস্তার করলেও পরে গুয়াহাটিতে স্থানান্তরিত হয়ে সেখান থেকেই তার প্রতারণামূলক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। জানা গেছে, আমিনগাঁওয়ের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তিনি ₹৭৮ লক্ষ আত্মসাৎ করেছিলেন। বিলাসবহুল গাড়ি, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষীসহ একজন উচ্চপদস্থ অফিসারের ছদ্মবেশে জীবন যাপন করতেন তিনি, যা তার প্রতারণার পরিধির ইঙ্গিত দেয়।

তার ফ্ল্যাট থেকে কোনো নম্বর প্লেট ছাড়া একটি গাড়ি দেখে সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ তল্লাশি অভিযান চালায়। অভিযানে একটি পিস্তল, জাল ব্যাংক সিল ও বেশ কিছু সন্দেহজনক সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত এই বস্তুগুলো সাহিল খানের প্রতারণামূলক কার্যকলাপ ও তার নেটওয়ার্কের গভীরতা উন্মোচনে সহায়ক প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

পুলিশ জানিয়েছে, সাহিল খানের প্রতারণা চক্রকে সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলতে গুয়াহাটির বিভিন্ন স্থানে একাধিক অভিযান চালানো হচ্ছে। তদন্তকারীরা তার সঙ্গে যুক্ত অন্য অপরাধীদেরও খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

পুলিশ সকল নাগরিককে আহ্বান জানিয়েছে, যদি সাহিল খানের সম্পর্কে কারো কাছে অতিরিক্ত তথ্য থাকে, তাহলে যেন তারা সামনে এসে তদন্তে সহায়তা করেন। এই ঘটনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হলেও, সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় এমন প্রতারণা রোধ করা সম্ভব।

এই অভিযান স্থানীয় জনগণের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের সক্রিয় ভূমিকার বার্তা দিয়েছে। সাহিল খানের গ্রেপ্তার ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ রোধে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।