নয়াদিল্লি, ৭ জুন : সাম্প্রতিক নকশালবিরোধী অভিযানে অসাধারণ সাফল্যের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁদের অভিনন্দন জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সহযোগিতা মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ। আজ নয়াদিল্লিতে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে তিনি জানান, “মোদী সরকার ভারতের মাটি থেকে নকশালবাদের সম্পূর্ণ অবসান ঘটাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
এক্স -এ দেওয়া এক পোস্টে অমিত শাহ লেখেন—”সাম্প্রতিক নকশালবিরোধী অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়া অফিসারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁদের ঐতিহাসিক সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানালাম। আমি সেই সাহসী জওয়ানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার অপেক্ষায় রয়েছি, যাঁদের সাহসিকতায় এই অপারেশন সফল হয়েছে। শীঘ্রই ছত্তিশগড়ে তাঁদের সঙ্গে দেখা করব।”
এই অভিযানটি সংঘটিত হয় ১৮ মে থেকে ২১ মে, ২০২৫-এ ছত্তিশগড়ের অভ্যন্তরীণ অরণ্যাঞ্চল আবুজমাড়-এ। অভিযান চালান ছত্তিশগড় পুলিশ ও বিভিন্ন জেলার ডিআরজি ইউনিট—নারায়ণপুর, দান্তেওয়াড়া, কন্ডাগাঁও ও বিজাপুর জেলা মিলিতভাবে।
২১ মে তারিখে বোটার গ্রাম সংলগ্ন জঙ্গলে সংঘটিত এনকাউন্টারে সিপিআই (মাওবাদী)-র সাধারণ সম্পাদক ও পলিটব্যুরো সদস্য বাসবরাজু ওরফে গগন্না-সহ মোট ২৭ জন নকশাল নিহত হয়। অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র এবং গুলি উদ্ধার হয়।
এই সাফল্য উপলক্ষে আজ নয়াদিল্লিতে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ ছত্তিশগড়ে সাম্প্রতিক নকশালবিরোধী অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী আধিকারিকদের সম্মানিত করেন। তিনি তাঁদের এই ঐতিহাসিক সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানান এবং তাঁদের নিরলস পরিশ্রম ও সাহসিকতার প্রশংসা করেন। সম্মানপ্রাপ্ত আধিকারিকদের মধ্যে ছিলেন ছত্তিশগড়ের পুলিশ মহাপরিদর্শক শ্রী অরুণ দেব গৌতম, অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (নকশালবিরোধী অভিযান/এসআইবি/এসটিএফ) শ্রী বিবেকানন্দ, বাস্তার রেঞ্জের পুলিশ মহাপরিদর্শক শ্রী সুন্দররাজ, নারায়ণপুর জেলার পুলিশ সুপার শ্রী প্রভাত কুমার, বিজাপুর জেলার পুলিশ সুপার শ্রী জিতেন্দ্র যাদব এবং নকশালমুক্ত বাস্তার জেলার পুলিশ সুপার শ্রী শলভ সিং। তাঁদের নেতৃত্ব ও পরিকল্পনায় পরিচালিত এই অভিযানেই বিপজ্জনক মাওবাদী নেতাসহ ২৭ জন নকশাল নিহত হয়, যা দেশের নকশাল দমন ইতিহাসে এক বড় সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিষ্ণু দেব সাই, উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিজয় কুমার শর্মা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সচিব শ্রী গোবিন্দ মোহন, গোয়েন্দা ব্যুরোর পরিচালক শ্রী তপন ডেকা, সহ কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের অন্যান্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।

