১ নভেম্বর থেকে দিল্লিতে প্রবেশ করতে পারবে শুধুমাত্র বিএস৬, সিএনজি ও ইভি বাণিজ্যিক গাড়ি, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তার

নয়াদিল্লি, ৪ জুন : দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা “বায়ু দূষণ প্রশমন পরিকল্পনা ২০২৫” উদ্বোধনকালে ঘোষণা করেছেন, আগামী ১ নভেম্বর থেকে শুধুমাত্র বিএস৬ (ভারত স্টেজ ৬), সিএনজি অথবা বৈদ্যুতিক (ইভি) বাণিজ্যিক গাড়িই রাজধানীতে প্রবেশের অনুমতি পাবে। সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “১ নভেম্বর ২০২৫ থেকে দিল্লিতে প্রবেশকারী যেকোনো বাণিজ্যিক গাড়ি বিএস৬, সিএনজি অথবা ইভি হতে হবে।” সাথে তিনি যোগ করেন, “আমাদের স্বপ্ন—পরিচ্ছন্ন, সবুজ ও সুস্থ দিল্লি। সেই লক্ষ্যে দিল্লি পরিবেশ দফতর এবছরের জন্য একটি দুর্দান্ত ‘বায়ু দূষণ প্রশমন পরিকল্পনা ২০২৫’ তৈরি করেছে।”

রেখা গুপ্তা ঘোষণা করেন, দিল্লিতে ক্লাউড সিডিং প্রযুক্তির মাধ্যমে শীঘ্রই প্রথম কৃত্রিম বৃষ্টি হতে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা আইআইটি কানপুরের সঙ্গে একটি পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে সমঝোতা স্মারক (মউ) স্বাক্ষর করেছি। খুব শীঘ্রই দিল্লিতে কৃত্রিম বৃষ্টি দেখা যাবে।” এছাড়াও, সরকার অন্যান্য বৈজ্ঞানিক সংস্থার সঙ্গেও চুক্তি করবে, যাতে আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে বায়ুদূষণের বিরুদ্ধে লড়াই চালানো যায়।

তিনি বলেন, দূষণের হটস্পটগুলিতে ধূলিকণা নিয়ন্ত্রণে মিস্ট স্প্রেয়ার বসানো হবে এবং ৩০০০ মিটারের ওপরে বাণিজ্যিক ভবন, মল, হোটেল ইত্যাদিতে অ্যান্টি-স্মগ গান বসানো বাধ্যতামূলক করা হবে। “এই ব্যবস্থার ফলে শহর জুড়ে ধূলিকণা হ্রাস পাবে এবং বায়ুদূষণ কমবে,” বলেন মুখ্যমন্ত্রী।

তিনি জানান, রাজধানীর প্রতিটি প্রবেশপথে স্বয়ংক্রিয় নম্বর প্লেট শনাক্তকরণ ক্যামেরা বসানো হবে, যার মাধ্যমে আয়ু সমাপ্তির পথে কিংবা ইতিমধ্যে সমাপ্ত হয়েছে গাড়ি চিহ্নিত করে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। “এই ক্যামেরা গুলি পেট্রোল পাম্পগুলোতেও বসানো হবে, যাতে দূষণকারী যানবাহন ধরা পড়ে। একসঙ্গে আমরা দিল্লির দূষণ সমস্যা মোকাবিলা করতে পারব,” বলেন মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ৫ জুন থেকে “এক পেড মা কে নাম” শীর্ষক বৃক্ষরোপণ অভিযান শুরু করবে দিল্লি সরকার। চলতি বছরে ৭০ লক্ষ চারা রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রাজ্য। “দিল্লির বায়ু পরিষ্কার করতেই আমাদের ব্যাপক হারে বৃক্ষরোপণ করতে হবে। এই অভিযান হবে দিল্লিকে বাসযোগ্য ও সবুজ রাখার পথে এক বড় পদক্ষেপ,”* জানান মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা। এই সব পদক্ষেপের মাধ্যমে দিল্লি সরকার ২০২৫ সাল থেকে দূষণমুক্ত এবং বাসযোগ্য নগরী তৈরির পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে এক দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।