কোলার, ৪ জুন : কর্ণাটকের কোলার জেলার শ্রীনিবাসপুরা শহরে ৮০ বছরের এক বৃদ্ধাকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের নাম বাবা জান (৩৭)। তিনি শ্রীনিবাসপুরার গাফফার খান মহল্লার বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় শ্রীনিবাসপুরা শহরের মুলবাগল রোডের কাছে একটি গ্যারাজে খোলা মাঠের ধারে ওই বৃদ্ধার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, বৃদ্ধাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই দিন আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে বৃদ্ধা শ্রীনিবাসপুরার চার্চে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। দুই দিন শহরে থাকার পর সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার জন্য বাসের অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। সেই সময় অভিযুক্ত তাঁর সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হন, তিনি একা। এরপর বৃদ্ধাকে তুলে নিয়ে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন বলে অভিযোগ।
অভিযুক্ত বৃদ্ধার ব্যাগ থেকে ১৫,০০০ টাকা লুট করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ কাছাকাছি একটি দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে, যেখানে দেখা যায় অভিযুক্ত বৃদ্ধাকে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্ত চালানোর সময় অভিযুক্ত আবার ঘটনাস্থলে ফিরে আসেন এবং পুলিশ তাঁকে চিনে ফেলেন। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে, এই নৃশংস ঘটনার পর মৃতার পরিবার অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার আরও বিস্তারিত তদন্ত চলছে।
কোলার জেলার শ্রীনিবাসপুরা শহরে ৮০ বছরের এক মহিলাকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, ঘটনার মূল কারণ ছিল লুটপাট। অভিযুক্ত ব্যক্তি মহিলার ব্যাগে থাকা টাকা ও গয়না লুটের উদ্দেশ্যে তাঁকে ধর্ষণ ও হত্যা করেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত স্বীকার করেছেন, তিনি মহিলার কাছ থেকে ১৫,০০০ টাকা ছিনিয়ে নিতে এই নৃশংস অপরাধটি ঘটান।
তদন্তে আরও জানা গেছে, বৃদ্ধা বাড়ি ফেরার জন্য বাসের অপেক্ষায় ছিলেন এবং একা ছিলেন—এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অভিযুক্ত তাঁকে নির্জন স্থানে নিয়ে যান। সিসিটিভি ফুটেজ ও ঘটনাস্থলে অভিযুক্তের উপস্থিতি পুলিশের তদন্তে সহায়ক হয়েছে।
সুতরাং, এই হত্যাকাণ্ডের প্রধান কারণ ছিল আর্থিক লোভ ও লুটপাটের উদ্দেশ্য, যার জন্য অভিযুক্ত ধর্ষণ ও হত্যার মতো জঘন্য অপরাধে লিপ্ত হন।
ওই নৃশংস অপরাধের ঘটনায় সমাজে ব্যাপক ক্ষোভ ও প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে সরাসরি অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ডের মতো কঠোর শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে, যা এই ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে সাধারণত দেখা যায়।
এমন নৃশংস অপরাধের পর সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে বারবার কঠোর শাস্তি, বিশেষত মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের দাবি উঠে আসে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকরের দাবি আরও জোরালো হয়।
তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কেবল কঠোর শাস্তির দাবি যথেষ্ট নয়—বিচার দ্রুত ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন হওয়াটাও অপরিহার্য। তবুও, এই ধরনের নির্মম অপরাধের ক্ষেত্রে জনমত ও ভুক্তভোগী পরিবার থেকে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিই প্রধানত উঠে আসে।
—

