যাচাই ছাড়াই বাংলাভাষী মুসলিমদের ঠেলে বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে, অভিযোগ সিপিএমের

নয়াদিল্লি, ৩১ মে : বাংলাভাষী মুসলিমদের যাচাই-বাছাই ছাড়াই বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হচ্ছে। সিপিএম পলিটব্যুরো শনিবার এক বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় ও বিজেপি নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারগুলোর বিরুদ্ধে এই গুরুতর অভিযোগ তুলেছে।

বিবৃতিতে পলিটব্যুরোর বক্তব্য, “সন্দেহভাজন বাংলাদেশি নাগরিকদের যেভাবে অমানবিকভাবে ঠেলে পাঠানো হচ্ছে, তা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। যারা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হোক—কিন্তু সেটি যেন ন্যায্য ও সংবিধানসম্মত পদ্ধতিতে হয়।”

সিপিএমের অভিযোগ, পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর বিজেপি-শাসিত কিছু রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার বিশেষ করে বাংলাভাষী মুসলিমদের নিশানায় নিয়েছে। যাচাই ছাড়াই অনেককে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হয়েছে বলে দাবি দলের।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “সাম্প্রতিক প্রকাশিত সংবাদে জানা গেছে এমন কিছু ভারতীয় নাগরিককেও বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে, যারা আদতে ভারতেরই বাসিন্দা। এমনকি যাদের বিদেশি ট্রাইবুনাল ‘বিদেশি’ ঘোষণা করেছে, কিন্তু যাদের আপিল এখনো অসম হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন—তাদেরও জোরপূর্বক সীমান্ত পার করানো হয়েছে। এটি একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।”

এছাড়া সিপিএম দাবি করেছে, বিজেপি শাসিত অসম সরকার তাদের সাম্প্রদায়িক নীতিকে আরও আগ্রাসীভাবে বাস্তবায়ন করছে এবং ‘জনজাতি জনগণকে অস্ত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত*’ নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত বিপজ্জনক ও সুদূরপ্রসারী পরিণতির আশঙ্কা তৈরি করছে।

দলটি বলেছে, “দেশে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা সরকারের দায়িত্ব। অনুপ্রবেশ রোধও প্রয়োজনীয়, কিন্তু কোনও নির্দিষ্ট ধর্মীয় গোষ্ঠীকে অস্ত্র দিয়ে সমাধান খোঁজা আরও বড় সংকট তৈরি করবে।”

সিপিএম সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে, ধর্মের ভিত্তিতে অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত না করা হোক। তাদের বক্তব্য, যারা বেআইনিভাবে প্রবেশ করেছে, তাদের একটি ন্যায্য বিচারপ্রক্রিয়ার সুযোগ দিতে হবে। দরিদ্র, দলিলবিহীন অভিবাসীদের যাদের কোনও অপরাধমূলক উদ্দেশ্য ছিল না, তাদের সম্মানের সঙ্গে ও নিয়ম মেনে বিবেচনা করা উচিত বলে সিপিএম মনে করে।