ইম্ফল, ২৮ মে : বুধবার প্রায় নয় ঘণ্টার ব্যবধানে পরপর তিনটি ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল মণিপুরের পাহাড়ি জেলা চুরাচাঁদপুর ও নোনি। রিখটার স্কেলে সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.২। তবে এখনও পর্যন্ত কোনো প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আধিকারিকরা।
জাতীয় ভূকম্পন বিজ্ঞান কেন্দ্র (এনসিএস) জানিয়েছে, প্রথম ভূমিকম্পটি হয় চুরাচাঁদপুর জেলা ও সংলগ্ন এলাকায়, যার মাত্রা ছিল ৫.২ ও গভীরতা ছিল ভূগর্ভের ৪০ কিলোমিটার নিচে। এরপর দ্বিতীয় ভূমিকম্পটি নোনি জেলা ও আশেপাশের অঞ্চলে অনুভূত হয়, যার মাত্রা ছিল ২.৫ এবং গভীরতা ছিল ২৫ কিলোমিটার। তৃতীয় ভূকম্পনটি আবারও চুরাচাঁদপুর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় হয়, যার মাত্রা ছিল ৩.৯ এবং গভীরতা ৩৬ কিলোমিটার।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দফতর ও সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির খবর মেলেনি। তবে হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার এই ভূকম্পনগুলির জেরে রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। উল্লেখ্য, চুরাচাঁদপুর জেলা মিজোরাম ও মায়ানমারের সীমানা ঘেঁষা, যেখানে ভূমিকম্পের প্রবণতা তুলনামূলকভাবে বেশি। গত ২৬ মে রাজ্যের পার্বত্য কাকচিং জেলা ও আশপাশের এলাকায় ৩.১ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়েছিল।
এই মাসে এখন পর্যন্ত মণিপুরে পাঁচটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এনসিএস-এর তথ্য অনুযায়ী, মে মাসে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের চারটি রাজ্য—মণিপুর, অসম, মেঘালয় ও অরুণাচল প্রদেশে মোট ১৯টি ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে, যেগুলির বেশিরভাগই ছিল হালকা মাত্রার। এই মাসে অরুণাচল প্রদেশে সর্বাধিক ছয়টি ভূমিকম্প রেকর্ড হয়েছে, তারপরে মণিপুরে পাঁচটি এবং আসাম ও মেঘালয়ে চারটি করে ভূমিকম্প হয়েছে। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, প্রতি সপ্তাহেই অন্তত একটি ভূমিকম্প কোনো না কোনো উত্তর-পূর্ব রাজ্যে ঘটেছে, যার বেশিরভাগের মাত্রা ছিল ৩ থেকে ৪-এর মধ্যে।

