চুরাইবাড়ি, ২৮ মে : অধিক মুনাফা লাভের লোভ দেখিয়ে সাধারণের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসতেই চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে এলাকায়। তবে এ কাণ্ডে জড়িত মূল নায়ক দিলোয়ার হোসেনের(পিতা আব্দুল হালিম,বাড়ি উত্তর ফুলবাড়ী ৩নং ওয়ার্ডে) বিরুদ্ধে রয়েছে পাহাড় প্রমাণ অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগ। সাধারণ মানুষকে সর্বশান্ত করে বহু লক্ষ টাকা সে হাতিয়ে নেয় বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে। তার বাড়ি চুরাইবাড়ি থানাধীন উত্তর ফুলবাড়ি গ্রামে হলেও সে কদমতলা থানা এলাকার কালাগাঙ্গের পার গ্রামের অধিকাংশ মানুষেরই মোটা সুদের প্রলোভন দেখিয়ে বহু লক্ষ টাকা নিয়ে অনলাইন ট্রেডিং এ লাগায়। ঘটনাচক্রে এমনই অভিযোগ করেন কালাগাঙ্গেরপার গ্রামের ভিতরগুল এলাকার ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আছিয়া বেগম স্বামী মৃত হারিজ আলি উনার কাছ থেকে সে বিগত বছর খানেক পূর্বে এক লক্ষ টাকা নেয়।
দরিদ্র আছিয়া মাইক্রো ফাইনান্স গ্রুপ থেকে সুদের মাধ্যমে এই টাকাগুলি নিয়ে দিলোয়ারকে দিয়েছিলেন বলে জানায়। এখন টাকা পাওয়ার জন্য উক্ত মহিলা দিলোয়ারের বাড়িতে গেলে তাকে ধরে মারপিট করে এবং ডাকাত আখ্যা দিয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন বৃদ্ধ মহিলা আছিয়া। তিনি তার কষ্টার্জিত টাকা ফিরে পেতে কদমতলা থানার দ্বারস্থ হয়েছেন।
অপরদিকে একই গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আলী হোসেন পিতা মখলিস আলী সেও দেড় বছর পূর্বে দুই দফাতে এক লক্ষ সত্তর হাজার টাকা দিয়েছিল দিলোয়ারকে। কিন্তু এখন সময় মত নিজের টাকা ফেরত চাইতেই দিলোয়ার বিভিন্ন বাহানা শুরু করে বলে অভিযোগ করে আলী হোসেন। তাছাড়াও রয়েছে ওই গ্রামের নজরুল হক, আসুক উদ্দিন ও হেকিম উদ্দিনরা। তারা তিনজনে মিলে দুই লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা নগদ অর্থ দিয়েছিল দিলোয়ার হোসেনকে। তখন দিলোয়ার তাদের আশ্বস্ত করেছিল নগদ অর্থ ফিরিয়ে দিতে না পারলে একটি টিপার গাড়ি তাদেরকে দিয়ে দেবে বলে।
বিনিময়ে দিলোয়ার সেই নগদ অর্থ নিয়ে অনলাইন ট্রেডিং এর কাজে জমা করে বলে অভিযোগ। এক বছরের ভেতর টাকা ফিরিয়ে দেবে বলে আশ্বাস দিয়ে দিলেও প্রায় দেড় বছর হয়ে যাবার পরও দিলোয়ার বিভিন্ন প্রতারণা করে টাকা দিচ্ছে না। তাই নিজেদের পাওনা টাকা নিতে একের পর এক ব্যাক্তিরা দিলোয়ারের বাড়িতে ধর্ণা দিলেও মিলছে না টাকা, এমনকি তার টিকিট লাগানো পাচ্ছেন না বলে জানান ভুক্তভোগীরা। বর্তমানে সবাই কদমতলা থানায় পৃথক পৃথকভাবে দিলোয়ার হোসেনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তারা জানায় পরবর্তীতে ধর্মনগর আদালতেও তার বিরুদ্ধে অর্থ নয়ছয় ও প্রতারণার মামলা দায়ের করবেন ভুক্তভোগীরা।

