নাগাল্যান্ডে সংরক্ষণ নীতি পুনর্বিবেচনা নিয়ে সরকারের নীরবতায় পাঁচটি জনজাতির প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা

চুমৌকেদিমা, ২৫ মে : সংরক্ষণ নীতি পুনর্বিবেচনার বিষয়ে নাগাল্যান্ড সরকারের নীরবতাকে কেন্দ্র করে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের ঘোষণা দিয়েছে পাঁচটি জনজাতির কমিটি।

‘ফাইভ ট্রাইবস কমিটি অন রিভিউ অফ রিজার্ভেশন পলিসি’ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তারা ধাপে ধাপে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে। এই কমিটিতে আছেন আঙ্গামি পাবলিক অর্গানাইজেশন, আও সেনডেন, লোথা হোহো, রেংমা হোহো এবং সুমি হোহোর প্রতিনিধিরা।

তবে এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তীব্র বিরোধিতা জানিয়েছে সরকারের দ্বারা স্বীকৃত ব্যাকওয়ার্ড ট্রাইবস -দের প্রতিনিধিত্বকারী ছাত্র সংগঠনগুলো। তাদের দাবি, বর্তমানে প্রচলিত সংরক্ষণ নীতি যেকোনওভাবে শিথিল করা হলে প্রান্তিক জনজাতিদের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে।

পাঁচটি জনজাতির এই কমিটি গত বছরের ২০শে সেপ্টেম্বর সরকারের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেয় যাতে সংরক্ষণ নীতি পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করা হয়। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনও উত্তর না আসায় তারা গত ২৬শে এপ্রিল একটি আল্টিমেটাম জারি করে, যার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৬শে মে।

শনিবার চুমৌকেদিমায় পাঁচটি শীর্ষ জনজাতীয় সংগঠন এবং অন্যান্য সংগঠনের সাথে পরামর্শ সভা শেষে কমিটি সরকারের নীরবতার প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নেয়।

কমিটির সম্পাদক জি.কে. ঝিমোমি জানান, তাদের মূল দাবি হলো — সংরক্ষণ নীতি সম্পূর্ণ বাতিল করা অথবা অবশিষ্ট অরিজার্ভড কোটাগুলি পাঁচটি জনজাতিকে বরাদ্দ দেওয়া।

তিনি বলেন, তারা কোনও জনজাতিকে সংরক্ষণের সুবিধা পাওয়ার বিরোধিতা করছেন না, তবে ৪৮ বছর ধরে চলা এই নীতির এখন পুনর্মূল্যায়ন প্রয়োজন।

ঝিমোমি আরও জানান, ১৯৮৭ সালে সরকার সংরক্ষণ নীতির পুনর্বিবেচনা করতে ব্যর্থ হয় এবং ১৯৮৯ সালে একটি নির্দেশ জারি করে বলা হয় যে এই নীতি “পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত” কার্যকর থাকবে, যা আজও বলবৎ রয়েছে।

অন্যদিকে, চাকহেসাং স্টুডেন্টস ইউনিয়ন, জেলিয়াং স্টুডেন্টস ইউনিয়ন এবং পোচুরি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন — যেগুলো সরকার স্বীকৃত ব্যাকওয়ার্ড ট্রাইবস -দের প্রতিনিধিত্ব করে — তারা যৌথ বিবৃতিতে ৫ জনজাতির কমিটির স্মারকলিপির তীব্র বিরোধিতা করেছে।

তারা বলেছে, “সংরক্ষণ নীতি আমাদের সম্প্রদায়গুলোর সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণের একটি ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে। এর যেকোনও শিথিলকরণ আমাদের জন্য ক্ষতিকর হবে।”