ব্রহ্মপুত্রর গর্জন আকাশে উঠল – ব্রহ্মোস মিসাইলের প্রতি হিমন্ত বিশ্ব শর্মার দেশপ্রেমিক শ্রদ্ধার্ঘ্য

গৌহাটি, ২৪ মে: অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সম্প্রতি তাঁর সরকারি ‘এক্স’ হ্যান্ডেলে ব্রহ্মোস মিসাইলের প্রতি এক আবেগঘন শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন। “যখন ব্রহ্মপুত্র আকাশে উড়ল: ব্রহ্মোস এক জাতির শক্তির প্রতীক” শিরোনামে পোস্টটিতে মুখ্যমন্ত্রী ব্রহ্মোস মিসাইলের ঐতিহ্য, গতি, নির্ভুলতা এবং তার পেছনের ভারত-রাশিয়া সহযোগিতার ব্যাখ্যা দেন।

তিনি লেখেন, “ব্রহ্মোস নামটা কেবল কিছু অক্ষরের সংমিশ্রণ নয়—এটা পরিচয়ের, ইতিহাসের ও শক্তির সংমিশ্রণ। ‘ব্রহ্মপুত্র’—অসমের গর্জনরত নদী, আর ‘মস্কভা’—রাশিয়ার হৃদয়; এই দুইয়ের মিলনে জন্ম এই অতিস্পষ্ট সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের।”

স্মরণ করেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ড. এ.পি.জে. আব্দুল কালামের সঙ্গে একটি আলোচনার কথা, যেখানে ব্রহ্মোস নামের পিছনের গভীর অর্থ উঠে আসে। তাঁর মতে, ব্রহ্মোস মিসাইল শুধু প্রযুক্তির নয়, ভারতের প্রাকৃতিক শক্তিরও প্রতীক।

হিমন্ত বলেন, “এই মিসাইল হল ভারতের আগুনে খোদাই করা বার্তা। এর গতি, নির্ভুল লক্ষ্যভেদ ক্ষমতা এবং বহুমাত্রিক প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারযোগ্যতা আমাদের গর্বের বিষয়। আর এর নাম – ব্রহ্মপুত্র – এখন বিশ্বজুড়ে উচ্চারিত হয়, এক শক্তির প্রতীক হিসেবে।”

অপারেশন ‘সিন্দুর’-এর সময় ব্রহ্মোসের ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, “এটা শুধু একটা মিসাইল নয়, এটা চলমান ব্রহ্মপুত্র। যখন শত্রু ‘ব্রহ্মোস’ শব্দটি শোনে, তারা ব্রহ্মপুত্রের গর্জন ও এক অবিচল জাতির দৃঢ় সংকল্প শুনতে পায়।”

তিনি আরও যোগ করেন, “আমাদের অসমবাসীর জন্য এটা এক গর্বের বিষয় যে, আমাদের নদীর নাম আজ বিশ্বের দ্রুততম সুপারসনিক মিসাইলের অংশ। এই নাম আমাদের মাটি থেকে উঠে এসে সীমান্ত পার হয়ে বিশ্বের সামনে ভারতের সংকল্প ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতা প্রমাণ করেছে।”