ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় শুকরের ফার্ম দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ রাজনগরবাসী, মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি

আগরতলা, ২৪ মে : কুমারঘাট মহকুমার অন্তর্গত ফটিকরায় বিধানসভা কেন্দ্রের রাজনগর গ্রামে এক বিতর্কিত ব্যবসার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগের কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে রয়েছেন দন্ত চিকিৎসক ডাঃ অভিজিৎ ঘোষ, তিনি নিজের শখ পূরণের পাশাপাশি এলাকার বুকে তৈরি করে ফেলেছেন এক বিশাল শুকরের ফার্ম। যেখানে প্রায় ২০০টিরও অধিক শুকর রয়েছে। এরফলে সৃষ্ট দুর্গন্ধে দমবন্ধ হওয়ার জোগাড় হয়েছে গোটা এলাকাবাসীর।

স্থানীয় বাসিন্দা অনুপ চৌধুরী জানান, আমার বাড়ি ঠিক ওই ফার্মের সামনে। এমনিতেই এলাকায় প্রচুর লোকের বসবাস। আমার বৃদ্ধ মা-বাবা একটু বিশুদ্ধ হাওয়ায় বাইরে বসতে চান, কিন্তু ওই ফার্ম থেকে এমন দুর্গন্ধ বের হয় যে জানালা-দরজা বন্ধ করেও থাকা যায় না। খাবার খেতে বসলে গন্ধে গলা উল্টে আসে। ফার্মের সুকরের বিকট ডাক তো আছেই, যা পুরো পরিবেশটাই অস্বস্তিকর করে তুলছে।

তবে এখানেই শেষ নয়। সূত্রের খবর, প্রভাবশালী শাসকদলীয় নেতাদের ছত্রছায়ায় ডাঃ ঘোষ নিজের বিলাসবহুল বাড়িতে ভারতের জাতীয় পশু ময়ূরসহ (সংখ্যা প্রায় ৮টি) বেশ কিছু বন্যপ্রাণী রেখেছেন, যার জন্য বনদপ্তরের অনুমতি নেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ উঠছে। বাড়ির ভিতরে বিভিন্ন প্রজাতির পশু-পাখি থাকারও খবর মিলেছে। অনুপ চৌধুরীর কথায়, আমরা শুনেছি তাঁর বাড়িতে এইসব প্রাণী আছে। বনদপ্তরের নিয়ম কী, সেটা তো তারা ভালো বলতে পারবে। তবে অনুমতি ছাড়া যদি এসব প্রাণী রাখা হয়, তাহলে সেটা অবশ্যই আইনবিরোধী।

সম্প্রতি ওই ফার্মের পাশে বসানো হয়েছে পেভার ব্লক তৈরির মেশিন, যেটি থেকে চরম শব্দ বের হওয়ার আসংখ্যা রয়েছে। এই বিষয়ে অনুপবাবুর বক্তব্য, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এমন শব্দদূষণ একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। গন্ধ আর শব্দে আমাদের দিন-রাত অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। এলাকাবাসীর দাবি, অবিলম্বে এই শুকরের ফার্ম অপসারণ করতে হবে। তাঁরা মনে করছেন, প্রশাসন ইচ্ছাকৃতভাবে এই বিষয়ে নিশ্চুপ রয়েছে। সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই এলাকার মানুষ সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদন করতে চলেছেন।