অপারেশন সিঁদুরে সামনের সারিতে প্রায় ৩,০০০ অগ্নিবীর, পাকিস্তানের হামলায় প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

নয়াদিল্লি, ২৩ মে : প্রায় ৩,০০০ অগ্নিবীর, যারা গত দুই বছরে অগ্নিপথ প্রকল্পের অধীনে নিয়োগ পেয়েছেন, সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সম্প্রতি চালানো অপারেশন সিঁদুরে। প্রায় ২০ বছর বয়সী এই তরুণ সেনারা পাকিস্তানের মিসাইল ও ড্রোন হামলা থেকে ভারতের সামরিক ঘাঁটিগুলোকে রক্ষা করেছেন।

চার দিনব্যাপী এই প্রতিরোধমূলক সামরিক অভিযানে, সন্ত্রাসে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া পাকিস্তানকে কার্যকর জবাব দিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হয়ে উঠেছেন অগ্নিবীরেরা। এয়ার ডিফেন্স (এডি) ইউনিটে ছিলেন প্রায় ২০০ অগ্নিবীর। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের ‘ট্রাম্প কার্ড’ হিসেবে ব্যবহৃত আকাশতীর সিস্টেম পরিচালিত হয়েছে এই সাহসী তরুণদের সহায়তায়, যা অত্যন্ত সফল প্রমাণিত হয়েছে।

পশ্চিম সীমান্তে মোতায়েন থাকা এডি ইউনিটে অগ্নিবীর সৈনিকরা কামানের গুলিবর্ষণকারী, ফায়ার কন্ট্রোল অপারেটর, রেডিও অপারেটর এবং ভারী অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী গাড়ির চালকের ভূমিকায় ছিলেন। তারা কাঁধে বহনযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করেছেন এবং কামান চালিয়েছেন।

পেচোরা, শিলকা, ওসা-একেএ, স্ট্রেলা এবং তুঙ্গুস্কা-র মতো ম্যানপোর্টেবল ও মোবাইল মিসাইল সিস্টেম পরিচালনায় দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন তারা। মাঝারি পাল্লার সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেমও তাদের হাত ধরে সফলভাবে ব্যবহৃত হয়েছে।

এছাড়াও, আকাশতীর নোড ও রাডার চালনা, যোগাযোগ ব্যবস্থা রক্ষণাবেক্ষণ এবং আকাশ মিসাইল-সহ অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্র পরিবহন ও উৎক্ষেপণের জন্য ব্যবহৃত যান চালানোয় অগ্নিবীরদের অবদান অনস্বীকার্য।