বিলোনিয়া, ২২ মে: গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিলোনিয়া বিদ্যাপীঠ মিনি স্টেডিয়ামে বসে থাকা ৬ জন সন্দেহভাজন লোককে আটক করে বিলোনিয়া থানার পুলিশ। তাদের কাছে কোন ধরনের বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনার বিবরণে জানা গিয়েছে, গতকাল গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিলোনিয়া বিদ্যাপীঠ মিনি স্টেডিয়ামে বসে থাকা ৬ জন অপরিচিত সন্দেহভাজন লোককে আটক করে বিলোনিয়া থানার পুলিশ। এদের মধ্যে দুজন মহিলা চারজন পুরুষ। সাত জন থাকলেও একজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এই ছয়জনের মধ্যে ছয় জনই হিন্দু সনাতনী। এদের মধ্যে দুজন মহিলা এবং দুজন পুরুষ চারজন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা বাকি দুজন বাংলাদেশি নাগরিক।
পুলিশ জানিয়েছে, তাদের কাছে কোন ধরনের বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। তবে ছয় জনই পরশুরাম হয়ে আমজাদ নগর সীমান্ত দিয়ে আদম বেপারীদের ৩৯ হাজার টাকা দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসে। কিন্তু এখানে তাদের কোন থাকার জায়গা না থাকাতে তারা বিদ্যাপীঠ মিনিস্টেডিয়ামে রাতের বেলায় আশ্রয় নেয়। আজ সকালে পশ্চিমবঙ্গের মায়া পুরের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা ছিল।
আটক ছয় জনের নাম হলো প্রান্তোষ চন্দ্র সূত্রধর (৩৬) বাড়ি বাংলাদেশের কুমিল্লায় , শুভ দাস(৩০) নারায়ণগঞ্জ, বাংলাদেশ, প্রিয়ঙ্কা দাস (২৫) বাড়ি কাকদ্বীপ সুন্দরবন পশ্চিমবঙ্গ, ভূপাল বাউরী (৫৯) বাড়ি পূর্ব বর্ধমান পশ্চিমবঙ্গ, প্রেমানন্দ গোস্বামী (২৮) এবং তার মা মাধবী গোস্বামী (৪৮) বাড়ি বর্ধমান পশ্চিমবঙ্গ। বিলোনিয়া থানার ওসি শিবু রঞ্জন দে জানান তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে তাদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে আইপিপি এক্ট এ মামলা গ্রহণ করে তদন্ত শুরু হয়েছে যার কেস নম্বর হলো বিলোনিয়া থানা ৩৩/২৫।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো গত এক মাসের মধ্যে অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে সীমান্তের কাঁটাতার ডিঙিয়ে আমজাদ নগর এলাকা দিয়ে ২১ জনেরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিক ভারতে প্রবেশ করলেও সীমান্তে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সীমান্ত রক্ষী বাহিনী কিছুই জানতে পারল না। অথচ সীমান্ত এলাকা পেরিয়ে আসার পর পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে। এই নিয়ে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর কর্তব্য নিয়ে বড়সড়ো প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর হাতে সীমান্ত এবং দেশ কতটা সুরক্ষিত এই নিয়েও উঠছে প্রশ্ন জনমনে। এদিকে পুলিশ অবৈধভাবে আসা বাংলাদেশী নাগরিকদের ধরে থানাতে নিয়ে আসার পর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী থেকে শুরু করে রাজ্য গোয়েন্দা বাহিনী এমন কি বিএসএফের গোয়েন্দা বাহিনীর ও তৎপরতা দেখাতে শুরু করে। গোয়েন্দা বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। এইভাবে একের পর এক অবৈধভাবে বাংলাদেশী নাগরিকদের এপার ওপার করতে থাকলেও গোয়েন্দা বাহিনী আজ পর্যন্ত কোন আদম বেপারীর খোঁজ পুলিশকে দিতে পারল না।

