বিলোনিয়া, ১৮ মে: উত্তর ভারত চন্দ্র নগর বাজারে চুরির ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের চোরের দল চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিল পুলিশের দিকে। ঘটনার ষোল দিনের মাথায় গত শনিবার গভীর রাতে চুরির ঘটনা ঘটল মাইছড়া বাজারে। নিশি কুটুম্বের মতো চোরের দল হানা দেয় একাধিক দোকানে।
রবিবার সকালে দোকান খুলতে গিয়ে দোকানদাররা চুরির ঘটনা টের পান। চোরেরা কখনও টিনের বেড়া কেটে, কখনও দরজার তালা ভেঙে আবার কখনও ছাউনি কেটে দোকানের ভিতরে প্রবেশ করে। ফলের দোকান থেকে শুরু করে ঔষধের দোকান, সবজি দোকান, এমনকি টিফিনের দোকান – কোনও কিছুই বাদ দেয়নি চোরেরা। একই রাতে আটটি দোকানে হানা দিয়ে তারা চুরি করে চারটি গ্যাস সিলিন্ডার, নগদ অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী।
এই ঘটনায় মাইছড়া বাজার ও আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে তীব্র আতঙ্ক ও ক্ষোভ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন বিলোনিয়া থানার ইনস্পেক্টর স্বপন সেন, রাহুল জমাতিয়া সহ পুলিশ এবং টিএসআর বাহিনীর সদস্যরা। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। সঙ্গে ছুটে আসে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল, যারা দোকানের কাটা টিনের বেড়া থেকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেন। প্রাথমিক অনুমান, বেড়া কাটতে গিয়ে চোরের হাত কেটে যায়।
উল্লেখযোগ্য, কিছুদিন আগেই মাইছড়ার সাঁই বাবা মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটেছিল। মন্দিরের তালা ভেঙে চোরেরা প্রণামী বাক্স ও পূজার সামগ্রী চুরি করে নিয়ে যায়। যদিও সেই ঘটনারও এখনও পর্যন্ত কোনও কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। একের পর এক চুরির ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষ।
মাইছড়া বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সম্পাদক চন্দন দাস সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পুলিশের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি দাবি জানান, অবিলম্বে চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি তিনি সন্ধ্যার পর বাজার এলাকায় নিয়মিত পুলিশের টহল বাড়ানোর জোর দাবি জানান।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, মাইছড়া এলাকায় নেশাখোরদের আনাগোনা দিন দিন বেড়েছে এবং এই নেশায় আসক্তরাই এই চুরির ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত থাকতে পারে। বাজার ও আশপাশের মানুষের দাবি, পুলিশের অবহেলা বন্ধ করে অবিলম্বে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। এখন দেখার বিষয়, পুলিশ এই চক্রকে ধরতে সক্ষম হয় কি না, নাকি ফের একবার চোরেরা পুলিশের নাকের ডগায় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে চুরি চালিয়ে যাবে।
2025-05-18

