সেনাবাহিনীর বড় সাফল্য, জম্মু-কাশ্মীরের শোপিয়ানে এনকাউন্টারে নিহত ৩ জঙ্গি

জম্মু, ১৩ মে : মঙ্গলবার সকালে জম্মু ও কাশ্মীরের শোপিয়ান জেলায় ভারতীয় সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে তিনজন কট্টরপন্থী জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন কিলার’।

জানা গেছে, সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছিল শোপিয়ানের পাশের কুলগাম জেলায়। সেখান থেকে জঙ্গিরা সরে এসে শোপিয়ানে আশ্রয় নেয়। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় রাইফেলস ইউনিটের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী একটি সার্চ অ্যান্ড ডেস্ট্রয় অপারেশন শুরু করে।

ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের সরকারি এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছে, “অপারেশন কিলার-এর অন্তর্গত ১৩ মে রাষ্ট্রীয় রাইফেলস ইউনিটের নির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শোপিয়ান জেলার শোয়েকাল কেলার এলাকায় সন্ত্রাসবাদীদের উপস্থিতির খবর পাওয়া যায়। সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয় সেনা তল্লাশি অভিযান শুরু করে। অভিযানের সময় জঙ্গিরা প্রচণ্ড গুলি ছোড়ে এবং পাল্টা সংঘর্ষে তিন কট্টর জঙ্গি নিহত হয়। অভিযান এখনও চলছে।”

পুলিশ জানিয়েছে, কাশ্মীর উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলের কেলার এলাকায় জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে গোটা এলাকাকে ঘিরে ফেলে নিরাপত্তা বাহিনী। তল্লাশির সময় জঙ্গিরা প্রথম গুলি চালায় এবং এরপরেই শুরু হয় জোরদার বন্দুকযুদ্ধ, যার ফলস্বরূপ তিনজন জঙ্গিকে নিকেশ করা সম্ভব হয়েছে।

এই ঘটনা ঘটেছে এমন এক সময়ে, যখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে অস্ত্রবিরতির অবস্থা অত্যন্ত করুণ। বিগত কয়েক দিনে পাকিস্তানের তরফে গোলাবর্ষণ ও ড্রোন হামলার পর ভারতীয় বাহিনী পাল্টা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।

এর আগে ভারত ৭ মে ‘অপারেশন সিনদুর’ পরিচালনা করেছিল, যার মাধ্যমে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিকে ধ্বংস করা হয়। এই অভিযানের মাধ্যমে ২২ এপ্রিল অনন্তনাগের কাছে পহেলগামের বৈসারান উপত্যকায় ২৬ জন নিরীহ পর্যটকের উপর জঙ্গি হামলার প্রতিশোধ নেওয়া হয়, যাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।

বর্তমান সংঘর্ষ ও অভিযান স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, ভারতীয় সেনাবাহিনী দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে এবং যে কোনও মূল্যে জঙ্গি কার্যকলাপ নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর। শোপিয়ানে চলমান অভিযান ঘিরে নিরাপত্তা বাহিনীর নজরদারি জারি রয়েছে।