ইতিহাসে প্রথমবার সীমিত প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের উপর ব্রাহ্মোস মিসাইল দিয়ে ভারতের লক্ষ্যভেদ, সংঘাত নিয়ন্ত্রণে কূটনৈতিক তৎপরতা তুঙ্গে

নয়াদিল্লি, ১১ মে : ভারত ১০ মে ভোরে ইতিহাস সৃষ্টি করল, যখন প্রথমবারের মতো ব্রাহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল ব্যবহার করে পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনাগুলিতে নির্ভুল এবং সমন্বিত প্রতিক্রিয়া হানা চালাল। পাকিস্তানের একাধিক উসকানির প্রেক্ষিতে এই প্রতিরক্ষা পদক্ষেপ নেওয়া হয়, যা ভারতের কৌশলগত সংযম বজায় রেখেই তীব্র ও প্রযুক্তিগতভাবে উচ্চতর আঘাত হানার সক্ষমতা প্রকাশ করল।

সেনা সূত্র জানায়, পাকিস্তানের রাফিকি (শোরকোট), মুরিদ (চকওয়াল), নুর খান (চাকলালা), রহিম ইয়ার খান, সুক্কুর, চুনিয়ান (কসুর), স্কারদু, ভোলারি, জ্যাকোবাবাদ ও সরগোধা বিমানঘাঁটি এবং পাশরুর ও শিয়ালকোটের রাডার কেন্দ্রগুলিকে নিশানা করা হয়। বিশেষ করে ইসলামাবাদের নিকটে অবস্থিত নুর খান বিমানঘাঁটিতে হামলা, পাকিস্তানের কৌশলগত পরিকল্পনা বিভাগের কাছে থাকায়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

এই অভিযানে ব্যবহৃত হয় আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র যেমন — হ্যামার গাইডেড বোমা, স্ক্যাল্প ক্রুজ মিসাইল এবং লোইটারিং মিউনিশনস। তবে ব্রাহ্মোসের যুদ্ধ-অভিষেক ছিল অন্যতম প্রধান মোড় ঘোরানো পদক্ষেপ। ভারতীয় বাহিনীর উচ্চ প্রযুক্তির নিখুঁত নির্ভুলতা পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা এবং কমান্ড-অ্যান্ড-কন্ট্রোল অবকাঠামো কার্যত অচল করে দেয়।

বিশেষ এক যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং বায়ুসেনার উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং, পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রির সঙ্গে জানিয়েছেন, এই হামলার উদ্দেশ্য প্রতিশোধ নয়, বরং প্রতিরোধ।
“পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে যথাযথভাবে এবং নিয়ন্ত্রিতভাবে,” বলেন কর্নেল কুরেশি।

পাকিস্তানের তরফ থেকে একযোগে ২৬টির বেশি আকাশীয় অনুপ্রবেশের চেষ্টার পর এই কড়া প্রতিক্রিয়া আসে। ড্রোন ও দীর্ঘ-পাল্লার অস্ত্র ব্যবহারে উদমপুর, পাঠানকোট, আদমপুর এবং ভুজে সীমিত ক্ষতি হয়। পরে ১:৪০ মিনিটের পর পাকিস্তান মেডিক্যাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন উইং কমান্ডার সিং, যা তিনি “নীচু মানসিকতার কাপুরুষোচিত আক্রমণ” বলে আখ্যায়িত করেন।

পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ভারতের একাধিক ঘাঁটি ধ্বংস করার দাবি ভারত সরকার নস্যাৎ করে। সাংবাদিক সম্মেলনে আদমপুর, সিসা ও নাগরোটার ব্রাহ্মোস ঘাঁটির টাইম-স্ট্যাম্পযুক্ত ছবি দেখিয়ে পাকিস্তানের দাবি মিথ্যা প্রমাণ করা হয়।

এই সামরিক পদক্ষেপ কেবল এক অভিযান নয়, বরং ভারতের নতুন কৌশলগত নীতির স্পষ্ট দৃষ্টান্ত—সুনির্দিষ্ট, স্মার্ট ও সামরিক ভারসাম্য রক্ষা করে গৃহীত পদক্ষেপ।

নুর খান ঘাঁটির উপর হামলার পরপরই, যা পাকিস্তানের পরমাণু অবকাঠামোর নিকটবর্তী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সরাসরি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে ফোন করে অবিলম্বে উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানান। একই সঙ্গে, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করে সরাসরি ইসলামাবাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের পরামর্শ দেন।

পরবর্তী সময়ে হোয়াইট হাউসের এক গোপন কূটনৈতিক উদ্যোগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিবৃতিতে উভয় দেশের “সংযম ও নেতৃত্বের” প্রশংসা করেন এবং বলেন, “লক্ষ লক্ষ নিরীহ প্রাণ রক্ষা পেয়েছে… এই সাহসিক সিদ্ধান্ত ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।”

ভারতের এই সূক্ষ্ম অথচ শক্তিশালী সামরিক প্রতিক্রিয়া দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত মানচিত্রে নতুন এক বাস্তবতা সৃষ্টি করল — প্রযুক্তিনির্ভর, নিয়ন্ত্রিত এবং কৌশলগতভাবে সুসংহত।