নয়াদিল্লি, ১০ মে — আদালতের আদেশ অমান্য করার অভিযোগে অন্ধ্রপ্রদেশের এক ডেপুটি কালেক্টরকে পদাবনতি দিয়ে পুনরায় তহশিলদার পদে পাঠানোর নির্দেশ দিল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। এই সঙ্গে তাকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা গুনতে হবে। আদালতের বক্তব্য, “কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়, উচ্চ পদে থাকা ব্যক্তিও নয়।”
ডেপুটি কালেক্টর টাটা মোহন রাও যখন গুন্টুর জেলার তহশিলদার পদে ছিলেন, তখন তিনি আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও বস্তি উচ্ছেদ করেন। এই উচ্ছেদে বহু মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েন। বিষয়টি হাইকোর্টে গড়ায় এবং অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্ট তাকে আদালত অবমাননার দোষে দোষী সাব্যস্ত করে ২ মাসের কারাদণ্ডও দেয়। পরবর্তীতে রাও সুপ্রিম কোর্টে সেই রায় চ্যালেঞ্জ করেন।
বিচারপতি বি.আর. গাভাই এবং এ.জি. মাসিহ-এর বেঞ্চ রায় প্রদান করে জানায়, “আমাদের জানানো হয়েছে যে আবেদনকারী ২০২৩ সালে ডেপুটি কালেক্টর পদে উন্নীত হয়েছেন। আমরা অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারকে নির্দেশ দিচ্ছি যেন তাকে পুনরায় তহশিলদার পদে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।”
আদালত স্পষ্ট করে জানায়, “আদালতের আদেশের লঙ্ঘন গণতান্ত্রিক কাঠামোর মূলে আঘাত হানে। এমন আচরণ সহ্য করা যায় না।”
বিচারপতি গাভাই বলেন,“আমরা চাই এই বার্তা দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ুক — আপনি যতই উচ্চ পদে থাকুন না কেন, আপনি আদালতের আদেশ উপেক্ষা করতে পারেন না।”
আদালতের মতে, অভিযুক্তের “একগুঁয়ে ও নির্দয় মনোভাব” দুঃস্থ বাসিন্দাদের দুর্ভোগ বাড়িয়েছে, তবে তার পরিবার যেন এই পরিস্থিতির ভুক্তভোগী না হয়। সে কারণে তাকে কারাদণ্ড না দিয়ে পদাবনতি ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, “আইনের শাসনের ভিত্তিকে টিকিয়ে রাখতে হলে বিচার বিভাগের মর্যাদা রক্ষা করা আবশ্যক। এমনকি সংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিও আদালতের আদেশ মানতে বাধ্য।”

