কাঞ্চনমালা এসবি বিদ্যালয় শিক্ষক স্বল্পতায় ভুগছে

আগরতলা, ৮ মে: গোলাঘাটি বিধানসভার অন্তর্গত কাঞ্চনমালা এসবি বিদ্যালয় বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত।এরই মধ্যে বড় সমস্যা হল শিক্ষক স্বল্পতায়।শিক্ষক স্বল্পতার কারণে বিদ্যালয়ের পঠনপাঠন লাটে উঠেছে।

বিদ্যালয়ে শিক্ষকের অভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনা চরমভাবে লাটে উঠেছে। যেখানে ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের সঠিক লেখাপড়ার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ গড়ার স্বপ্ন দেখে ছাত্র-ছাত্রীদের সেই স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাচ্ছে শিক্ষক স্বল্পতার কারণে। সরকারিভাবে বিভিন্ন জায়গায় বলা হচ্ছে বর্তমানে এই সুশাসনের ত্রিপুরা রাজ্যে নাকি শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন এসেছে।

ঘটনার বিবরণে জানা গিয়েছে, গোলাঘাটি বিধানসভার অন্তর্গত কাঞ্চনমালা এসবি স্কুলে প্রাথমিক বিভাগের ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা ৫৫ জন তাদের শিক্ষাদানের জন্য শিক্ষক শুধুমাত্র দুইজন। যাদের নাম রুপালি দত্ত এবং কবিতা চৌধুরী। দুপুর বিভাগের ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা ৪৫ জন, যাদের শিক্ষাদানের জন্য শিক্ষক মাত্র দুইজন যাদের নাম নুপুর দেবনাথ এবং বিশ্বজিৎ দেবনাথ। প্রাথমিক বিভাগে এবং দুপুর বিভাগে মিলিয়ে মোট চারজন শিক্ষক বিদ্যালয়ে পাথরত ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা দান করছে। তবে এই ক্ষেত্রে এই তথ্যটি অবিশ্বাস্য হলেও কাঞ্চনমালা এস বি স্কুলের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নির্ভুল। গত কিছুদিন আগে শিক্ষক স্বল্পতা থাকা সত্ত্বেও দুইজন শিক্ষককে অন্যত্র বদলি করা হয়েছিল।

এই শিক্ষক স্বল্পতার কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা এবং বিদ্যালয়ে পরিচালন কমিটি বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে শিক্ষক দেয়ার জন্য দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু বিদ্যালয় পরিদর্শকের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল এক সপ্তাহের মধ্যে নাকি বিদ্যালয়ে শিক্ষক দেওয়া হবে কিন্তু এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও চোখের কোন খবর নেই এই বিদ্যালয় যার ফলে বিদ্যালয়ে আসার ছাত্র-ছাত্রীরা সঠিক শিক্ষা দানের অভাবে তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে কিন্তু সেদিকের নজর নেই রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের। এভাবে শিক্ষক স্বল্পতার জন্য বিদ্যালয়ে পাঠরত ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকরা এই স্কুলে তাদের ছেলেমেয়েদের পড়াশুনা করানো থেকে মুখ ঘুড়িয়ে নিচ্ছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা এবং অভিভাবকরা সংবাদ মাধ্যমের দ্বারস্থ হয়ে তাদের এই শিক্ষক স্বল্পতার কথা তুলে ধরেন পাশাপাশি অভিভাবকরা জানিয়েছেন বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে শিক্ষক দেওয়া হোক না হয় তাদের ছাত্রছাত্রীদের অন্য স্কুলে নিয়ে ভর্তি করানোর জন্য বদলির সার্টিফিকেট দেওয়া হোক। কেননা অভিভাবকরা চান না যে এই বিদ্যালয়ে তাদের সন্তানরা পড়াশোনা করে শিক্ষিত হওয়ার পরিবর্তে মূর্খতা অর্জন করুক।