সন্ত্রাসীদের দমন করতে কেন্দ্রীয় সরকারের অতিসত্বর কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন : আশিস

আগরতলা, ২৬ এপ্রিল: সন্ত্রাসীদের দমন করতে কেন্দ্রীয় সরকারের অতিসত্বর কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। আজ বিলোনীয়া কংগ্রেস ভবনে আয়োজিত সভায় একথা বলপ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশিস কুমার সাহা। সবার শুরুতেই পেহেলগাঁও সন্ত্রাসবাদীদের হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।

পাকিস্থানী সন্ত্রাসীদের হাতে পেহেলগাঁও এ ২২ এপ্রিল ভারতের নিরিহ পর্যটকদের নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদে গোটা দেশের সাথে সারা বিশ্বে নিন্দার ঝড় উঠেছে। এদিনের সন্ত্রাসীদের আক্রমনে ২৮ জন ভারতীয় পর্যটক নিহত হয়েছে। ভারতের জাতীয় কংগ্রেস এই হত্যাকান্ডকে কাপুরুষোচিত বলে আখ্যা দিয়েছে। কংগ্রেসের কার্যকরী কমিটি সন্ত্রাস দমনে সরকারের পাশে থাকতে চাইছেন সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ঘটনার দিন আরব সফর কাটছাঁট করে ভারতে ফিরে এসে ব্রেকিং নিউজে নিজের অস্তিত্ব চারিদিকে ছড়িয়ে দিয়েছেন। কংগ্রেস দল সন্ত্রাস দমনে সরকারের পাশে থাকতে সর্ব সর্বদলীয় বৈঠকে অংশগ্রহণ করলেও প্রধানমন্ত্রী সর্বদলীয় বৈঠকে অংশগ্রহণ না করে বিহারে রাজনৈতিক প্রচারে অংশগ্রহণ করেছেন। কংগ্রেস দল এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

বিলোনীয়া কংগ্রেস ভবনে আয়োজিত সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দিয়ে পেহেলগাঁওয়ে পাকিস্থানী সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত ২৮ জন পর্যটকদের প্রতি শোক ও শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে দেশবাসীকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে এই কথা গুলি বলেন।

তিনি বলেন, এমন একটা স্পর্শ কাতর এলাকায় যেখানে প্রতিনিয়ত পর্যটকদের ভিড় থাকে সেখানে নিরাপত্তার কোন ব্যবস্থা রাখা হয়নি কেন প্রশ্ন তুলেছেন। বিজেপি ধর্মীয় বিভাজন তৈরি করতে দলের আইটি সেল উঠে পড়ে লেগেছে। ঘটনা সংগঠিত করার আগে সন্ত্রাসীরা পর্যটকদের জামা কাপড় খুলে পরীক্ষা করে পর্যটকদের হত্যা করেছে বলে প্রচার করছে। পর্যটন কেন্দ্রে কেন নিরাপত্তার রক্ষী মোতায়েন করা হয়নি প্রশ্ন তুলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীরা এই হত্যাকান্ডের দায় এড়িয়ে যেতে পারন না।
ছাপান্ন ইঞ্চির প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন কাশ্মীরের সন্ত্রাস শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসবেন। বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটা হচ্ছে। পাকিস্তানি সন্ত্রাসীদের দমন করতে কেন্দ্রীয় সরকারের অতিসত্বর কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে কংগ্রেস মনে করছে।