আগরতলা, ৮ এপ্রিল : আসছে বাংলা নবর্বষ। ইতিমধ্যে পসরা সাজিয়ে বসে পড়েছেন হালখাতা বিক্রেতারা। কিন্তু সময়ে সাথে খাতার ব্যবহারও কমে গিয়েছে অনেকটাই। বর্তমান যুগে কম্পিউটারেই ব্যবসার হিসেব রাখেন বেশিরভাগ দোকানীরা।
প্রসঙ্গত, সেই মোঘল আমলে চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে প্রজারা খাজনা পরিশোধ করতেন এবং বৈশাখ মাসের প্রথম দিনে প্রজাদের মিষ্টিমুখ করাতেন জমিদাররা। এবং শুরু হত নতুন খাতায় হিসাব-নিকেশ। তবে আগের থেকে এখনকার দিনে হালখাতার উদযাপন অনেকটাই কমে এসেছে। আগে অনেক দোকানী হালখাতা উপলক্ষ্যে রীতিমত নিমন্ত্রণ পত্র ছাপিয়ে উত্সবের আয়োজন করতেন। এখন বিভিন্ন অ্যাপ ও অনলাইন শপিং-এর কারণে হালখাতার সেই আগেকার দিনের জৌলুস কমে এসেছে। কম্পিউটারেই ব্যবসার হিসেব রাখেন বেশিরভাগ দোকানীরা। তাই খাতার ব্যবহারও কমে গিয়েছে অনেকটাই।
তবু নববর্ষের প্রথম দিনে দোকান পরিষ্কার করে, ফুল দিয়ে সাজিয়ে, লক্ষ্মী গণেশের পুজো করে নতুন খাতা যাত্রা করাতে ঠাকুরবাড়িতে যেতে দেখা যায় ব্যবসায়ীদের।