আগরতলা, ৭ এপ্রিল: রমজান মাসে সেকেরকোট বিদ্যুৎ দপ্তর, আমতলী থানার পুলিশ এবং রায়েরমুড়া বিএসএফ মিলে মতিনগর সীমান্তের ৯০টি পরিবারের বিদ্যুৎ ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা বৈধভাবে বিদুৎ বিল পরিশোধ করার পর বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ মার্চ আচমকা পূর্বে নোটিশ জারি না করে রমজান মাসে সেকেরকোট বিদ্যুৎ দপ্তর, আমতলী থানার পুলিশ এবং রায়েরমুড়া বিএসএফ মিলে মতিনগর ৯৮ নম্বর গেটের সামনে বিদ্যুৎ ছিন্ন করতে আসে ঐপারের ৯০টি পরিবারকে। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ওই এলাকার জনগণ। যদিও ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা থেকে আরম্ভ করে বিধায়ক এবং প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বরা এলাকায় সরেজমিনে পরিদর্শন করে দুঃখ প্রকাশ করেন। তা সম্পূর্ণ অমানবিক বলে দাবি করেন তাঁরা। তবে এলাকার জনগণের দাবি যাতে তাদের বিদ্যুৎ ছিন্ন করে না দেওয়া হয়। সেদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি দাবী রাখলেন।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এলাকাবাসী বলেন, ৯০ টি পরিবার বর্তমানে অসহায় অবস্থা। বৈধভাবে ভারতীয় নাগরিক এবং ভারতীয় সীমান্তে বৈধভাবে বসবাসের পরেও কেন আমাদের বিদ্যুৎ ছিন্ন করে দেওয়া হবে। তাই নয় গত বিধানসভা অধিবেশনে আমাদের ৯০ টি পরিবারের বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে আলোচনা হয়েছে তাতে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন ১৫ টি পরিবার নাকি বৈধভাবে বিদ্যুৎ বিল দিয়ে আসছে বাকি পরিবার গুলি বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেনি কখনো। যার দরুন বিদ্যুৎ ছিন্ন করে দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেছেন, যারা বিল পরিশোধ করছে তাদের বিদ্যুৎ থাকবে অন্যদের কেটে দেওয়া হবে। তবে আমাদের আপত্তি নেই। কারণ আমরা ৫০টি পরিবার বিদ্যুৎ ভোক্তা বৈধভাবে বিদ্যুৎ চালিয়ে আসছে এবং প্রত্যেক মাসেই বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে আসছে।
এলাকাবাসীদের আরো বক্তব্য, বর্তমানে তারকাটা বেড়ার ওই পারে মতিনগর সীমান্তে সম্পূর্ণ কেবল সংযোগে বিদ্যুৎ দেওয়া হয়েছে কোন রকমেই কোন ব্যক্তি অবৈধভাবে বিদ্যুৎ চালাতে পারবে না। অসহায় বিপিএল পরিবারভুক্ত আমাদের বিদ্যুৎ যাতে ছিন্ন করে না দেওয়া হয়।