তেলিয়ামুড়া, ৭ এপ্রিল : ত্রিপুরার শিক্ষা-ইতিহাসে যুক্ত হল এক নতুন দীপ্তিময় অধ্যায়। রাজ্যের উপজাতি-অধ্যুষিত এলাকার শিক্ষাব্যবস্থায় এক যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে ছয়টি একলব্য মডেল আবাসিক বিদ্যালয় নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই ঐতিহাসিক ঘোষণাটি রাজ্যের বিশিষ্ট মন্ত্রী শ্রী বিকাশ দেববর্মা রাজ্যবাসীর সঙ্গে ভাগ করে নেন রাজধানী আগরতলায় আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে।
মন্ত্রী দেববর্মা বলেন, “শিক্ষা কেবল ভবিষ্যতের স্বপ্ন নয়—এটি বর্তমানের বাস্তবতা। শিক্ষাই সমাজকে গড়ে তোলে, জাতিকে পথ দেখায়। তাই আমাদের সরকার প্রারম্ভ থেকেই শিক্ষার পরিকাঠামোগত ও গুণগত উন্নয়নের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
তিনি জানান, উপজাতি সম্প্রদায়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য উচ্চমানের শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করাই এই প্রয়াসের মূল লক্ষ্য। বহুদিন ধরেই তিনি একলব্য বিদ্যালয় স্থাপনের দাবি জানিয়ে এসেছেন, এবং আজ সেই দাবি পূর্ণতা পেয়েছে। “এই অনুমোদন রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে এক নতুন ভোর এনে দেবে,” বললেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় আদিবাসী কল্যাণ মন্ত্রকের সচিব শ্রী বিভু নায়ারের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মন্ত্রী দেববর্মা। আলোচনা হয় নির্মাণপ্রক্রিয়া, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন নিয়ে। উভয় পক্ষই একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
মন্ত্রী আশ্বাস দেন, “এই বিদ্যালয়গুলি শুধুমাত্র বইয়ের জ্ঞান দেবে না, বরং আদিবাসী ছাত্রছাত্রীদের আত্মবিশ্বাস, নেতৃত্বদানের দক্ষতা এবং সংস্কৃতির গর্ব নিয়ে বড় হয়ে ওঠার সুযোগও করে দেবে। এটি আমাদের আগামী প্রজন্মের ভিতকে আরও দৃঢ় করবে।”
শেষে তিনি রাজ্যবাসীকে শিক্ষার এই অভিযাত্রায় সহযাত্রী হওয়ার আহ্বান জানান। তার দৃঢ় বিশ্বাস—“ত্রিপুরা একদিন একটি জ্ঞানভিত্তিক, মানবিকতাপূর্ণ, উন্নত ও আদর্শ রাজ্যে রূপান্তরিত হবে।”

