বৈদ্যনাথ ভট্টাচার্য, কুমারঘাট, ৭ এপ্রিল: কুমারঘাটে জমি বিতর্ক ফের একবার সরকারি প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। প্রায় ৫৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মীয়মান টাউন হল আজ পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে জমি সংক্রান্ত বিরোধের কারণে। আর এবার সেই একই পথে হাঁটতে চলেছে বর্তমান সরকার বলেই মনে করছে কুমারঘাটবাসী।
প্রসঙ্গত, কুমারঘাটে পানীয় জলের ঘাটতি দীর্ঘ দিনের। দেও নদীর উপর স্থাপিত ৯১ মাইল এলাকার পুরনো ট্রিটমেন্ট প্লান্ট বহু আগেই কার্যকারিতা হারিয়েছে। ফলে নতুন একটি ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ৬ কোটি টাকা এবং রাজস্থানের একটি সংস্থা কাজের দায়িত্ব পেয়েছে।
নতুন প্লান্ট নির্মাণের জন্য হালাইমুড়া এলাকাকে বেছে নেওয়া হলেও, সেই জমি ঘিরে চলছে তীব্র বিতর্ক। রমা দাস নামে এক ব্যক্তি ও তাঁর পরিবার সেই জমিকে নিজেদের বলে দাবি করছেন। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে মামলা চলছে আদালতে।
এমন অবস্থাতেও রাজ্য সরকারের ডিডব্লিউএস (DWS) দপ্তর এবং স্থানীয় বিধায়ক ভগবান দাসের নির্দেশে বিতর্কিত জমিতে প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। এতে কুমারঘাটবাসীর মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, টাউন হলের মতোই এই প্রকল্পও মাঝপথে থেমে যেতে পারে।
উল্লেখ্য, ২০১০-এর দশকে বাম সরকারের আমলে টাউন হল নির্মাণের জন্য প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হলেও, জমি নিয়ে বিরোধের কারণে আজ তা পরিত্যক্ত। সেই একই ভুল বর্তমান সরকারও করছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে—যদি আবারও সরকারি অর্থের অপচয় ঘটে, তবে তার দায়িত্ব কে নেবে? কুমারঘাটবাসীর দাবি, সরকারের উচিত প্রকল্প শুরুর আগে জমির আইনি অবস্থান সুনিশ্চিত করা এবং পুনরায় টাউন হলের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখে দেওয়া।

