ছাত্রছাত্রীদের গুণগত শিক্ষা প্রদানে রাজ্য সরকার আন্তরিক : মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ১ এপ্রিল : রাজ্য এবং টিটিএএডিসি পরিচালিত বিদ্যালয়গুলির ছাত্রছাত্রীদের গুণগত শিক্ষা প্রদানে রাজ্য সরকার বদ্ধপরিকর। তাই টিটিএএডিসি এলাকায় বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তর থেকে মোট ৭০৯ জন শিক্ষককে গুণগত শিক্ষা প্রদান করার জন্য ডেপুটেশনে পাঠানো হয়েছে এবং তাদের বেতন বাবদ ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত ৬৬ কোটি ৯৮ লক্ষ ২৩ হাজার ৪০৮ টাকা প্রদান করা হয়েছে। আজ বিধানসভায় রেফারেন্স পিরিয়ডে বিধায়ক পাঠানলাল জমাতিয়ার জনস্বার্থে আনা এক নোটিশের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা জানান।

মুখ্যমন্ত্রী জানান, এডিসি এলাকার বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনার পাশাপাশি সঠিক পুষ্টি যোগান দেওয়া এবং বিদ্যালয়ে আসার জন্য আগ্রহী করে তুলতে পিএম-পোষণ প্রকল্পের অধীনে এডিসি এলাকার প্রতিটি উচ্চ ও নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ে রান্না করা খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরজন্য প্রতিবছর এডিসি কর্তৃপক্ষকে গড়ে ৫.৩৮ কোটি টাকা দেওয়া হয়। বর্তমান ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৪.৯৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্য সরকারের শিক্ষা দপ্তরের অন্তর্গত বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়ানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্পে হোস্টেল নির্মাণ করা হচ্ছে। কস্তুরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়ের অন্তর্গত ১৫টি হোস্টেলের মধ্যে ১৪টি টিটিএএডিসি এলাকায় অবস্থিত। অনুরূপভাবে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোস আবাসিয় বিদ্যালয় হোস্টেল প্রকল্পে ১৬টি হোস্টেলের মধ্যে ৯টি হোস্টেল টিটিএএডিসি এলাকায় অবস্থিত। এইসব হোস্টেলগুলিতে ছাত্রছাত্রীরা বিনামূল্যে থাকা, খাওয়া এবং পড়ার সুযোগ গ্রহণ করছে। এছাড়াও পিএম-জনমন এবং ধরতি আভা জনজাতি গ্রাম উৎকর্ষ অভিযান এই দুটি প্রকল্পে ৩৯টি হোস্টেল তৈরির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন পাওয়া গেছে। এই হোস্টেলগুলি টিটিএএডিসি এলাকায় তৈরি করা হবে।

মুখ্যমন্ত্রী জানান, ড্রপ আউট ছাত্রছাত্রীদের বিদ্যালয়মুখী করার লক্ষ্যে বিদ্যালয় চলো অভিযান করা হয়ে থাকে। এই অভিযানকে সফল করার জন্য অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের দ্বারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ড্রপ আউট ছাত্রছাত্রীদের চিহ্নিত করে তাদের বিদ্যালয়ে ভর্তি করানো হয়। এরফলে রাজ্যে আগের তুলনায় ড্রপ আউটের সংখ্যা অনেক কমেছে। ত্রিপুরার স্বশাসিত জেলা পরিষদ এলাকায় শিক্ষার সামগ্রিক মানোন্নয়নে এডিসি প্রশাসন ও বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের যৌথ অংশগ্রহণে একটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কমিটি গঠন করার প্রস্তাব রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। এই কমিটি টিটিএএডিসি পরিচালিত বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক বরাদ্দ, শিক্ষকের যৌক্তিকতা ইত্যাদির মাধ্যমে বিদ্যালয়গুলির সামগ্রিক উন্নয়নের বিষয়ে পর্যালোচনা করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *