তেলিয়ামুড়া, ৩১ মার্চ : আবারও গৃহবধূ নির্যাতনের অভিযোগ উঠলো তেলিয়ামুড়ায়। প্রানের ভয়ে নির্যাতিতা গৃহবধূ আশ্রয় নিলো তেলিয়ামুড়া থানায়। ঘটনায় মহিলা কমিশনের হস্তক্ষেপ চাইছে শুভবুদ্ধি সম্পন্ন সচেতন মহল। দাবী উঠছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের।
নির্যাতিতা গৃহবধূ’র অভিযোগ মূলে খবরে প্রকাশ, প্রায় আট বছর পূর্বে তেলিয়ামুড়া থানাধীন দশমীঘাট এলাকার বাসিন্দা পিতা-মাতাহীন দীপা সাহা নামের তরুণী’কে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার মধ্য দিয়ে নিজের স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে, তেলিয়ামুড়া’র গৌরাঙ্গটিলা এলাকার স্বপ্নারানী দাস ও মানিক দাসের পুত্র রাজীব দাস। বর্তমানে তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
নির্যাতিতা গৃহবধূ’র অভিযোগ, বিবাহের কয়েক বছর পর থেকেই গৃহবধূ’র শ্বশুড় বাড়ির লোকজন প্রতিনিয়ত গৃহবধূ দীপা সাহা’কে শারীরিক এবং মানসিক ভাবে নির্যাতন চালিয়ে আসছে।
সোমবার, এই গৃহবধূ দীপা সাহা’কে নির্যাতনের মাত্রা এতটাই ছাড়িয়ে যায় যে, শ্বশুড় শ্বাশুড়ি’র নির্দেশে গৌরাঙ্গটিলা স্থিত গৃহবধুর শ্বশুড় বাড়িতে থাকা ভাড়াটিয়ারা মিলে রীতিমতো প্রাণঘাতী নির্যাতন চালায় এই গৃহবধূ’র উপর।
গৃহবধূ’র অভিযোগ, বাড়িতে থাকা এক ভাড়াটিয়া মেয়ে সহ তার মা মিলে গৃহবধূর শ্বশুড় শ্বাশুড়ি’র নির্দেশে গৃহবধূ কে তালিবানি কায়দায় মাটিতে ফেলে বেধড়ক ভাবে মারধর করে , তৎসঙ্গে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ মানসিক নির্যাতন চালায়। ওই গৃহবধূ’কে বাঁচাতে গেলে গৃহবধূর নাবালিকা কন্যা কেও হামলার শিকার হতে হয়। পরবর্তীতে নিজের প্রান বাঁচাতে নির্যাতিতা গৃহবধূ দীপা সাহা তেলিয়ামুড়া থানায় ছুটে আসে।
সংবাদ লেখা পর্যন্ত, ওই গৃহবধূ থানাতেই অবস্থান করছে বলে তেলিয়ামুড়া থানা সূত্রে খবর। কারন, ওই গৃহবধূ আতঙ্কে রয়েছে হয়তো বাড়িতে পৌঁছালে তাকে প্রানে মেরে ফেলা হতে পারে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, সমাজের সকল অংশের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মহল থেকে দোষীদের আইনের আওতায় এনে নির্যাতিতা গৃহবধূ’কে নায্য বিচার পাইয়ে দেওয়ার দাবি উঠছে। তৎসঙ্গে এটাও দাবি উঠছে যে, ঘটনায় মহিলা কমিশনের হস্তক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি।