নিজস্ব প্রতিনিধি, কৈলাসহর, ২৯ মার্চ:
বন্যা কবলিত কৈলাসহরকে রক্ষা করতে সাম্প্রতিক কালে কৈলাসহরের মনু নদীর পাড়ের বিভিন্ন এলাকায় বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। কৈলাসহরের মনু নদীর পাড়ের বিভিন্ন এলাকায় বাঁধ সংস্কারের কাজের শুরুতেই দপ্তরের নির্দিষ্ট গাইডলাইন মানা হচ্ছে না। কাজের গুনগত মান নিয়ে গোটা কৈলাসহরবাসী সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেও সরব হয়েছেন। এরই পাশাপাশি বামপন্থীরাও মাঠে নেমে বাঁধের নিম্নমানের কাজের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন।
শনিবার দুপুরে সি.পি.আই.এম কৈলাসহর মহকুমা কমিটির পক্ষ থেকে এক প্রতিনিধি দল ঊনকোটি জেলার জেলাশাসক দিলিপ কুমার চাকমার নিকট এক ডেপুটেশনে মিলিত হয়েছেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন সি.পি.আই.এম কৈলাসহর মহকুমা কমিটির সম্পাদক অঞ্জন রায়, সি.পি.আই.এম নেতা বিশ্বরুপ গোস্বামী, অরুনাভ সরকার, রঞ্জিত নাথ, কয়েস মিঞা, নারী নেত্রী আনোয়ারা বেগম, যুব নেতা সাগর ভট্টাচার্য এবং সইফ উদ্দিন সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা।
ডেপুটেশন শেষে সি.পি.আই.এম কৈলাসহর মহকুমা কমিটির সম্পাদক অঞ্জন রায় সংবাদ প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হয়ে জানান যে, কৈলাসহর মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় মনু নদীর পাড়ের বাঁধ দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার করা হয়নি। এরফলে প্রতি বছর বর্ষার প্রাক্কালে কৈলাসহর মহকুমার মানুষ আতংকে কাটাতো। কখন যেন বাঁধ ভেংগে যায়। ২০১৮সালের এপ্রিল মাসে কৈলাসহরের দূর্গাপুর এলাকায় মনু নদীর পাড়ের বাঁধ ভেংগে গিয়ে প্রায় সাতদিন শহরবাসীরা জলমগ্ন ছিলো। সেই দু:স্বপ্ন আজও কৈলাসহরের মানুষ ভুলে যায় নি। দীর্ঘ তালবাহানার পর সাম্প্রতিক কালে বাঁধের সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু কাজটি খুবই নিম্নমানের হচ্ছে।
বাঁধ সংস্কারের পূর্বে বাঁধের আশেপাশের জংগল কাটার কথা থাকলেও জংগল না কেটে কাজ শুরু করা হয়েছে। বাঁধের উপর পিচ রাস্তা এবং ইট সলিং রাস্তার ইট তোলে কাজ করার কথা থাকলেও ইট না তোলে কাজ শুরু করা হয়েছে। তাছাড়া দপ্তরের গাইডলাইন অনুযায়ী বাঁধের উপর ছাব্বিশ সেন্টিমিটার মাটি ফেলে সেই মাটির উপর জল ঢেলে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন মেশিন দিয়ে ভাইব্রেটিং করে ফের ছাব্বিশ সেন্টিমিটার মাটি ফেলে জল ঢেলে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন মেশিন দিয়ে ভাইব্রেটিং করার কথা থাকলেও তা করা হচ্ছে না বলেও জানান অঞ্জন রায়।