গঙ্গা মাতার প্রাণ প্রতিষ্ঠা ও বারুনি মেলা: জেলা শাসক ও মহকুমা শাসকের পরিদর্শন

কুমারঘাট, ২৭ মার্চ (বৈদ্যনাথ ভট্টাচার্য):

আজ, ২৭ মার্চ, ঊনকোটি জেলার কুমারঘাট মহকুমার হালাইমুড়া এলাকায় গঙ্গা মাতার প্রাণ প্রতিষ্ঠা ও বারুনি মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এই দিনে, দেও ও মনু নদীর সংযোগস্থলে গঙ্গা মাতার পাথরের মূর্তি বসানো হয়। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর তৈরি হওয়া পাথরের গঙ্গা মূর্তিটি আজ প্রাণ প্রতিষ্ঠা পাবে। এই উপলক্ষে বিশেষ গঙ্গাপূজা এবং বারুনি মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

গঙ্গা মাতা মৃন্ময়ী রূপ থেকে চিন্ময়ী রূপে পরিবর্তিত হওয়ার পক্ষে এই দিনটি গুরুত্বপূর্ণ। হালাইমুড়া এলাকায় গঙ্গাপূজা এবং বারুনি মেলার আয়োজনের জন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। জেলা শাসক দিলীপ কুমার চাকমা ও কুমারঘাট মহকুমা শাসক সহ প্রশাসনিক টিম স্থান পরিদর্শন করেন।

এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সভাপতি কার্তিক চন্দ্র দাস, চেয়ারম্যান সুদর্শন বৈদ্য, পবিত্র দেবনাথ, বীরেন্দ্র দাস সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। ২০১৯ সালে হেরিটেজ অর্গানাইজেশন নামক সংস্থা দুই নদীর সংযোগস্থলে গঙ্গা মূর্তি স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। এর পর, দীর্ঘ ছয় বছর ধরে পাথরের গঙ্গা মূর্তি তৈরির কাজ চলে। মূর্তি তৈরি শেষ হওয়ার পর, ১৪ মার্চ দোল পূর্ণিমায় মূর্তিটি স্থানান্তর করা হয়।

সংযোগস্থলকে দেবঘাট তীর্থক্ষেত্র হিসেবে রূপান্তরিত করার উদ্যোগে হেরিটেজ অর্গানাইজেশন কাজ করছে। রাজ্য সরকারও এই স্থানকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই স্থানেই স্বাধীন ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার বল্লভভাই প্যাটেলের একটি মর্মর মূর্তি বসানো হয়েছে।

কমিটির সভাপতি কার্তিক চন্দ্র দাস জানান, ভবিষ্যতে এই সংযোগস্থলে একটি রামমন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। সব মিলিয়ে, দেও ও মনু নদীর সংযোগস্থল ধর্মীয় হেরিটেজ তীর্থক্ষেত্রে পরিণত হতে চলেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *