নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৪ মার্চ:
আজ বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে অতিরিক্ত ব্যয় বরাদ্দের উপর ছাটাই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। ছাটাই প্রস্তাবের পক্ষে আলোচনা করেন বিরোধী দলের বিধায়ক গোপাল চন্দ্র রায় এবং বিধায়ক শৈলেন্দ্রনাথ। বিধায়ক শৈলেন্দ্রনাথ দশটি ছাটাই প্রস্তাব উত্থাপন করেন। ছাটাই প্রস্তাবের স্বপক্ষে তিনি বিস্তারিত আলোকপাত করেন।
তিনি বলেন, যেসব ক্ষেত্রে দপ্তর বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় করতে পারেনি সেসব ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ব্যয় বরাদ্দের প্রয়োজনীয়তা নেই। পরিষদীয় মন্ত্রী রতন লাল নাথ ছাটাই প্রস্তাবগুলির বিরোধিতা করে বিস্তারিত বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন সমালোচনা তখনই সফল হয় যখন সমালোচনা উন্নয়নের পথ দেখায়। বিগত ঝড় বৃষ্টি ও বন্যায় কৃষি এবং বিদ্যুতের মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিরোধীপক্ষ অতিরিক্ত ব্যয় বরাদ্দের প্রস্তাবে সমর্থন না জানিয়ে উন্নয়নকে ব্যাহত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
কিন্তু বিধানসভা অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধে মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা বিরোধীদের আনা ছাটাই প্রস্তাবগুলি খারিজ করে দেন। তিনি বলেন ককবরক ও সংখ্যালঘু ভাষা উন্নয়নের সরকার সব সময় সক্রিয়। ২০২৪- ২৫ অর্থ বছরের এ বাবদ ২ কোটি ১৬ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। তাতে মাতৃভাষায় পড়াশোনা করতে পারবে সংখ্যালঘু ভাষার ছেলেমেয়েরা। ভাষার উন্নয়নে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ জরুরী বলে উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এক্ষেত্রে বিরোধীদের ছাটাই প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রী নাকচ করে দেন। তিনি বলেন উচ্চশিক্ষা দপ্তরে কলেজ ও উচ্চ শিক্ষায় ৪৭৩ জন কর্মী আউটসোর্সিং এ নিযুক্ত করা হয়েছে। এজন্য অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বিরোধীরা এ বিষয়ে যে ছাটাই প্রস্তাব এনেছেন সেই প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয় বলে উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। উভয় পক্ষের আলোচনা শেষে অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন প্রস্তাবটি ভোটে দেন। প্রস্তাবটি ধনী ভোটে গৃহীত হয়। অর্থাৎ ছাটাই প্রস্তাব খারিজ করে অতিরিক্ত ব্যয় বরাদ্দের বাজেট গৃহীত হয়।