২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবকে রাজ্যের উন্নয়নের জন্য যথেষ্ট নয় : বিধায়ক গোপাল চন্দ্র রায়

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৪ মার্চ:
২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবকে রাজ্যের উন্নয়নের জন্য যথেষ্ট নয় বলে উল্লেখ করেন কংগ্রেস বিধায়ক গোপাল চন্দ্র রায় । এই বাজেট জনগণের স্বার্থ সুরক্ষা করতে সক্ষম হবে না বলেও তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। বেকার বিরোধী কর্মচারী বিরোধী ও জনস্বার্থ বিরোধী আখ্যায়িত করে জনকল্যাণমূলক বাজেট গ্রহণ করার জন্য সরকার পক্ষের কাছে অনুরোধ জানান। তিনি এ ব্যাপারে বেশ কিছু প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

বিধায়ক গোপালচন্দ্র রায় বলেন, রাজ্যে চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে আরও অধিক সংখ্যক চিকিৎসক নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করা প্রয়োজন। এবারের বাজেট প্রস্তাব স্বাস্থ্যের জন্য যথেষ্ট নয় বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন তিনি। স্বাস্থ্য খাতে আরও অতিরিক্ত ব্যয় বরাদ্দ করার জন্য তিনি সরকারের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন। শিল্প ক্ষেত্রেও অধিক অর্থ বরাদ্দের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বিধায়ক গোপাল রায় বলেন শিল্প কোন কারখানা গড়ে না উঠলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাবে। পর্যটন ক্ষেত্রে এবারের বাজেটে ১৫ কোটি ৯ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। পর্যটনের উন্নয়নে এই টাকা মোটেই যথেষ্ট নয় বলে তিনি উল্লেখ করেন। রাজ্যের পর্যটন ক্ষেত্রের বিকাশের লক্ষ্যে আরো অধিক অর্থ বরাদ্দ করা জরুরী। রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্র ও পর্যটকদের থাকার জন্য যেসব কেন্দ্র রয়েছে সেগুলোর উন্নয়ন প্রয়োজন। এগুলো পরিকাঠামো খুবই নড়বড়ে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। এম এন রেগায় বাজেট কমানোর ঘটনায় রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। গত সাত বছরে রাজ্যে কত সংখ্যক চাকরি হয়েছে তার সেতপত্র প্রকাশের দাবিও জানিয়েছেন বিধায়ক গোপাল রায়। অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণ প্রয়োজন। বিরোধীদের উত্থাপিত প্রস্তাবগুলো বিবেচনা করে বাজেটকে আরো জনমুখী করে তোলার জন্য এদিন আলোচনায় অংশগ্রহণ করে দাবি জানান বিধায়ক গোপাল চন্দ্র রায়।

আলোচনায় অন্যান্যদের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন বিধায়ক রামু দাস এবং বিধায়ক রঞ্জিত দাস। বাজেট আলোচনায় অংশগ্রহণ করে বিধায়ক রঞ্জিত দাস বলেন, বাজেট কর্মসংস্থান মুখী, জনমুখী হয়নি। এবারের বাজেটে যেসব বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে গত বাজেটেও এইসব প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত ছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন। এবারের বাজেটেও অনিয়মিত কর্মচারীদের বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের নিয়মিত করা হচ্ছে না। তিনি প্রত্যেক কর্মচারীকে সমকাজে সমবেতন প্রদানের দাবি জানান। বিদ্যাজ্যোতি স্কুল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এসব স্কুলে কোন পরিকাঠামো নেই, শিক্ষক নেই। শহর এলাকার সড়ক গুলো উন্নয়নের কাজে হাত দেওয়া হলেও গ্রামীন এলাকার সড়ক সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। জনমুখী, কর্মসংস্থান মুখী বাজেট তৈরীর প্রস্তাব উত্থাপন করেন তিনি। আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে কর্মী নিয়োগের তীব্র বিরোধিতায় সরব হন বিধায়ক রঞ্জিত দাস। আউটসোর্সিং বন্ধ করে সরকারি দপ্তরে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মী নিয়োগের ওপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *