যুবদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশের কল্যাণ হবে: মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ২৩ মার্চ: যুবদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশের কল্যাণ হবে। তাই সংসদীয় ব্যবস্থা ও রীতিনীতি সম্পর্কে যুবদের আরো অবগত করার প্রয়োজন রয়েছে।

রবিবার ত্রিপুরা বিধানসভার হলে আয়োজিত রাজ্যভিত্তিক বিকশিত ভারত যুব সংসদ প্রতিযোগিতার সূচনা করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তর এবং ত্রিপুরা বিধানসভার ব্যবস্থাপনায় এই কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালে দেশের ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী যুবদের সংসদীয় ব্যবস্থা সম্পর্কে অবগত করার জন্য প্ল্যাটফর্ম দেওয়া হয়। মূলত, সংসদের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি করা এবং সংসদীয় রীতিনীতি সম্পর্কে যুবদের জ্ঞান বাড়াতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে আজ ত্রিপুরায় প্রথম পর্যায়ে বিকশিত ভারত ইয়ুথ পার্লামেন্ট কার্যক্রমের সূচনা করা হয়। রাজ্যের ৮টি জেলা থেকে এই কার্যক্রমে অংশ নেয় ৩৮ জন যুব প্রতিযোগী। এরমধ্যে মেয়েদের সংখ্যা অধিক রয়েছে। যা আমাদের সবার জন্য খুশির খবর।
মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সবসময় যুবদের রাজনীতিতে নিয়ে আসার জন্য গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। বিশেষ করে যাদের পরিবারে কেউ রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, তাদের খুঁজে নিয়ে আসতে বলেন তিনি। কারণ তাদের চিন্তাভাবনা অনেকটাই পরিপক্ক থাকে। তাদের মধ্যে সততা ও নিষ্ঠা রয়েছে। আর অনেক মানুষ রাজনীতিতে আসতে চান না। তাই যুবদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশেরও কল্যাণ হবে। আগামীদিনে দেশের চিন্তাচেতনাও বদলে যাবে। প্রধানমন্ত্রী দেশের আর্থিক বিকাশে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের সুরক্ষা, আর্থ সামাজিক অবস্থা সহ সবদিক দিয়ে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দিশায় কাজ করছেন তিনি। আর যুব প্রজন্মও দেশের সার্বিক বিকাশের জন্য চিন্তাভাবনা করতে পারে।
ডাঃ সাহা বলেন, দেশের স্বাধীনতা অর্জনের ৭৫ বছর, মৌলিক অধিকার সহ ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নিজেও জানতে হবে, আর অন্যদেরও অবগত করতে হবে। দেশের সংবিধানকে প্রকৃত অর্থে জানতে হবে। আমরা ৫ বছরের জন্য জনগণের ভোটে নির্বাচিত হই। এক দেশ, এক ভোট এর মতো গুরুত্বপূর্ণ টপিক্সও দেওয়া হয়েছে তাদের। কারণ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভোট হয়ে থাকে। এতে কোড অফ কন্ডাক্ট এর ফলে বিভিন্ন কাজকর্ম থমকে থাকে। এর পাশাপাশি দেশ ও রাজ্যের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে আলোচনা হয়। এই কার্যক্রম থেকে ৩ জন প্রতিযোগী নির্বাচিত হবে। তাদের বাছাই করবেন বিচারক মন্ডলি। এই ৩ জন আমাদের রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করবে। আজকের এই কার্যক্রমে অংশ নেওয়া প্রতিযোগীদের আমি শুভেচ্ছা জানাই। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানাই।

এদিন এই কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক মন্ত্রী টিংকু রায়, বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায় সহ অন্যান্য বিধায়ক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *