আগরতলা, ২২ মার্চ: ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের অধীনে কর্মরত প্রায় ৪০ হাজার অনিয়মিত কর্মচারী দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিতকরণের দাবি জানিয়ে আসছেন। আজ, ত্রিপুরা অনিয়মিত কর্মচারী মঞ্চ তাদের ছয় দফা দাবির সমর্থনে সাংবাদিক সম্মেলন আয়োজন করেছে এবং এক মাসের মধ্যে তাদের দাবির আদায় না হলে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে মহাকরণ অভিযান করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত এই কর্মচারীরা, যারা কয়েক দশক ধরে অনিয়মিত অবস্থায় কাজ করছেন, তাদের নিয়মিতকরণের দাবি দীর্ঘদিন ধরে তুলে ধরেছেন। ২০০৬-০৭ সালে রাজ্য বিধানসভায় অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল, কিন্তু সে অনুযায়ী অনেক কর্মচারী এখনও নিয়মিত হননি। ২০১৮ সালে রাজ্য মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তে এই প্রক্রিয়া বন্ধ করা হয় এবং তাছাড়া, আংশিক সময়ের কর্মীদের নিয়মিতকরণের জন্য কোনো নতুন নির্দেশনা এখনো জারি হয়নি। ফলে, ৩০ থেকে ৩২ হাজার কর্মচারী আজ চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিনযাপন করছেন।
তারা সরকারি স্কিম না থাকার কারণে উচ্চ আদালতে যেতে পারছেন না। এ ছাড়া তারা বলেন, সাংবিধানিক অধিকার অনুযায়ী সমকাজে সমবেতন আমাদের অধিকার, কিন্তু তা পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তারা আরও দাবি করেন, অনিয়মিত কর্মচারীরা যে সামান্য মজুরি পান তা দিয়ে তাদের পরিবার চালানো প্রায় অসম্ভব।
বিগত ৭ বছরে কোনো অনিয়মিত কর্মচারী নিয়মিত করা হয়নি, যদিও ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভারতীয় জনতা পার্টি তাদের ভিশন ডকুমেন্টে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, তারা সরকার গঠন করলে সব অনিয়মিত কর্মচারীকে নিয়মিত করবে। তবে এই প্রতিশ্রুতি এখনো পূর্ণ হয়নি। তাই সমস্ত অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণ, যেসব কর্মচারী অবসরে গেছেন, তাদের এককালীন দশ লক্ষ টাকা প্রদান, অনিয়মিত কর্মচারীদের ১০ বছর মেয়াদ শেষে নিয়মিতকরণের স্কিম চালু করা ইত্যাদি ছয়টি দাবি সনদ রাজ্য সরকারের কাছে পেশ করেন ত্রিপুরা অনিয়মিত কর্মচারী মঞ্চের নেতারা।
ত্রিপুরা অনিয়মিত কর্মচারী মঞ্চের নেতারা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, যদি তাদের দাবির প্রতি সরকার সাড়া না দেয়, তবে তারা মে মাসের প্রথম সপ্তাহে মহাকরণ অভিযান করবে।