শান্তিরবাজার, ২০ মার্চ : ফের মাইক্রো ফাইনান্স এর বিরুদ্ধে অর্থ লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার বিবরনে জানা যায়, শান্তিরবাজার মহকুমার অন্তর্গত দক্ষিন তাকমার মধুচন্দ্র চাকমা পাড়ার ২৮ জনের নামে শান্তিরবাজারের বেদিকা ক্রেডিট ক্যাপিটাল লিমিটেড মাইক্রো ফাইনেন্স থেকে লোনের অনুমোদন দেওয়া হয়। এই লোন পাইয়ে দিতে সাহায্যের হাত বারিয়ে দেয় মধুচন্দ্র চাকমা পাড়ার বাসিন্দা রাখাল চাকমা।
স্থানীয় লোকজনেরা জানান রাখাল চাকমা নিজেকে মাইক্রো ফাইনেন্সের এজেন্ট পরিচয় দিয়ে লোন পাইয়ে দিতে সাহায্যের হাত বারিয়ে দেন। এতে করে এলাকার লোকজনেরা মাইক্রো ফাইনান্সের এজেন্ট হিসাবে রাখাল চাকমাকে প্রতিমাসের কিস্তি প্রদান করে। গতবছর বন্যা চলাকালীন সময়ে সকল গ্রাহকরা কষ্টের সহিত কিস্তি প্রদান করেন। সময় মতো সকল কিস্তি প্রদান করা সত্বেও বেদিকা নামক মাইক্রো ফাইনান্স থেকে সকল গ্রাহকদের নোটিশ প্রদান করা হয়। এতে করে সকলে জানতে পারে উনাদের দেওয়া কিস্তি সঠিকভাবে জমা করা হচ্ছেনা।
রাখাল চাকমা সকলের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে অর্থ লুটে নেওয়ার অভিযোগ উঠে আসছে। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ কিস্তি প্রদান করে রাখাল চাকমার নিকট অর্থ প্রদানের বৈধ কাগজ চাইলে তিনি তা দিতেন না। পরবর্তী সময় রাখাল চাকমার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়ে বৃহস্পতিবার শান্তিরবাজারে বেদিকা অফিসে এসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলো সকল গ্রাহকরা। উনারা সংবাদ মাধ্যমের সন্মুখিন হয়ে উনাদের অভিযোগ তুলে ধরেন।
একজন গ্রাহক জানান উনার নামে লোনের অনুমোদন হয়েছে যে এই বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। রাখাল চাকমা উনার কাছ থেকে আধার কার্ড ঠিক করার নামে আধারকার্ড নিয়ে এসে লোনের অনুমোদন করে অর্থরাশি তুলে নেন। সকলে আজকের বিক্ষোভের মাধ্যমে উনাদের অর্থ ফিরিয়ে দেবার আহব্বান জানান। এইবিষয়ে অফিস কতৃপক্ষের নিকট জানতে চাইলে উনারা কিছুই বলেননা।
অফিস কর্মীরা মৌখিকভাবে জানান বর্তমান সময়ে অফিসে ম্যানেজার নেই। উনারা নতুন এসেছেন তাই উনারা সঠিক কিছু বলতে পারছেন না। উনারা মৌখিকভাবে এও জানান রাখাল চাকমা এই অফিসের কর্মী নন। এখন দেখার বিষয় মধুচন্দ্র চাকমা পাড়ার ২৮জন সহজ সরল গ্রাহকদের এইভাবে ঠকানোর জন্য প্রশাসন কি প্রকার পদক্ষেপ গ্রহন করে।