ত্রিপুরার রেশন ডিলারদের খাদ্যশস্য বিতরনের কমিশন বৃদ্ধির অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার : খাদ্য মন্ত্রী

আগরতলা, ৬ মার্চ: ত্রিপুরার গনবণ্টন ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত রেশন ডিলাররা খাদ্যশস্য বিতরনের জন্য কমিশন বাবদ কুইন্টাল প্রতি ১৪৩ টাকা বাড়িয়ে ১৮০ টাকার অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আজ সচিবালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন খাদ্য মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।

এদিন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, গত ৪ মার্চ কেন্দ্রীয় খাদ্য ও গনবণ্টন ও উপভোক্তা বিষয়ক দপ্তরের মন্ত্রী প্রহল্লাদ যোশীর সঙ্গে সাক্ষাত করেন। তিনি গনবন্টন ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক কাজকর্ম সম্পর্কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে অবহিত করেন। ওই বৈঠকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে রাজ্যে গনবন্টন ব্যবস্থাকে আরো সুদৃঢ় ও কার্যকরী করার লক্ষ্যে বেশ কিছু দাবি উপস্থাপিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিন তিনি বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরে থেকে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন ও প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার আওতায় গনবন্টনের খাদ্যশস্য পরিবহন, রেশন শপ ডিলারদের কমিশন বাবদ কেন্দ্রীয় বরাদ্দের প্রায় ৫৩ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা আটকে ছিল। যা অতি শীঘ্রই রিলিজ করা হবে বলে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বলে জানান তিনি।

এদিন তিনি আরও বলেন, রাজ্য সরকারের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আগরতলায় একটি এফ সিআই এর রিজিওনাল অফিস স্থাপন করার জন্য প্রস্তাব রাখা হয়েছিল। ভারত সরকার এই ব্যাপারে সম্মতি জানিয়ে খুব শীঘ্রই তা বাস্তবায়নের জন্য এফসিআই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শুরু করা হবে বলে জানানো হয়েছে। তাছাড়া, কেন্দ্রীয় সরকার গনবন্টনের আওতাধীন সকল উপভোক্তাদের আধার কিওয়াইসি ৩১ মার্চের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশিকা জারি করেছে। ইতিমধ্যে রাজ্যের প্রায় ৬৯% উপভোক্তার ভেরিকেশন সম্পন্ন হয়েছে এবং ভারত সরকারের তরফে অনুরোধ করা হয়েছে।

সাথে তিনি যোগ করেন,রাজ্যে গনবণ্টন ব্যাবস্থার সঙ্গে যুক্ত রেশন ডিলাররা খাদ্যশস্য বিতরনের জন্য কমিশন বাবদ বর্তমানে কুইন্টাল প্রতি ১৪৩ টাকা পেয়ে থাকে, যা কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার কর্তৃক ৭৫:২৫ অনুপাতে বহন করা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কমিশনের পরিমাণ বাড়িয়ে কুইন্টাল প্রতি ১৮০ টাকা করার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে রেশন শপে ইপস মেশিনের সঙ্গে ইলেকট্রনিক ওজন মাপক যন্ত্রের ইন্ট্রিগ্রেসন বাস্তবায়ন করার পর কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে নতুন হারে ডিলার কমিশনের প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করা হবে। তাছাড়া, ভারত সরকারের পর্যটন দপ্তরের কেবিনেট মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওতের সঙ্গে দিল্লীস্থিত অফিসে সাক্ষাৎ করেন।

তাঁর কথায়, ত্রিপুরা হেরিটেজ ভিলেজ এবং সঙ্গীত এক্সপেরিয়েন্সের উন্নয়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০ কোটি টাকা। এছাড়াও উনকোটি সার্কিটের মধ্যে রয়েছে জম্পুই হিলের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৭০ কোটি টাকা।

তাছাড়া, রাজ্যের পর্যটনকে ‘স্বদেশ দর্শন’ (২০) প্রকল্পে ১৫০ কোটি টাকা দিতে সম্মতি প্রকাশ করেন। এছাড়াও রাজ্যের ৮টি আর্কিওলজিক্যাল পর্যটনস্থল ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলির উন্নয়ন ও রক্ষনাবেক্ষন এবং ত্রিপুরায় একটি স্থায়ী এএসআই-র সার্কেল অফিস স্থাপনের জন্য কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওত- এর হাতে এক স্মারক লিপি তুলে দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *