মহাকুম্ভগামী যাত্রীদের জন্য উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পদক্ষেপ

মালিগাঁও, ২১ ফেব্রুয়ারি: প্রয়াগরাজে আয়োজিত মহাকুম্ভ মেলাে অংশ নিতে যাওয়া যাত্রীদের যাত্রী সহজ করতে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে একাধিক পদক্ষেপ বাস্তবায়িত করেছে। ইতিমধ্যে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের অধিক্ষেত্র থেকে চার লক্ষাধিক ভক্ত যাত্রা করেছেন, স্বাচ্ছন্দ্য ও দক্ষতা বৃদ্ধি করতে অতিরিক্তভাবে আরও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। ভক্তদের জন্য সুগম ও ঝামেলামুক্ত ভ্রমণ নিশ্চিত করতে রেলওয়ের পক্ষ থেকে সুরক্ষা ও কমার্শিয়াল স্টাফ বৃদ্ধির পাশাপাশি সুরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা পরিচালন ব্যবস্থা আরও উন্নত করার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।

মহাকুম্ভের সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ৫০ কোটি তীর্থযাত্রী ভারতীয় রেলওয়ের দ্বারা পরিচালিত করা প্রায় ১৩,০০০ ট্রেনে করে যাত্রা করেছেন। বর্ধিত যাত্রীর ভিড় সামলাতে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে মহাকুম্ভের জন্য স্পেশাল ট্রেনের পাশাপাশি সাত থেকে আটটি নিয়মিত ট্রেন চালানো হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কামাখ্যা, নাহরলাগুন, গুয়াহাটি, কাটিহার, যোগবাণী ও রাঙাপাড়া নর্থ থেকে মোট ২৬ ট্রিপ স্পেশাল ট্রেন চালানো হয়েছে। যাত্রীদের ভিড় বৃদ্ধির পূর্বাভাস পেয়ে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে ভক্তদের জন্য সুগম ও ঝামেলামুক্ত যাত্রা নিশ্চিত করতে এই অতিরিক্ত ট্রেন পরিষেবা চালু করা হয়েছিল।

এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩.৩৭ লক্ষ সংরক্ষিত টিকিটের যাত্রী এবং ১.০৮ অসংরক্ষিত টিকিটের যাত্রী এই ট্রেনগুলির মাধ্যমে প্রয়াগরাজ যাত্রা করেছেন। এদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন গুয়াহাটি থেকে প্রায় ১.০৮ লক্ষ যাত্রী, ডিব্রুগড় থেকে প্রায় ১৯,৩০০ যাত্রী, নিউ জলপাইগুড়ি থেকে প্রায় ৫৪,১০০ যাত্রী এবং যোগাবাণী থেকে প্রায় ৩৪,৫০০ যাত্রী।সুরক্ষা ও ভিড় ব্যবস্থাপনার জন্য উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী, সরকারি রেলওয়ে পুলিশের শক্তিশালী টিম এবং সুগম ট্রেন পরিচালন নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত রানিং স্টাফ নিয়োজিত করা হয়েছে।

তাছাড়া, রিয়াল-টাইম মনিটরিং এবং দক্ষ ভিড় ব্যবস্থাপনার জন্য প্রধান প্রধান স্টেশনগুলিতে এবং ডিভিশনগুলিতে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি দিন-রাত চব্বিশ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের জন্য মুখ্য স্থানগুলিতে সিসিটিভি নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং নিয়মিত যাত্রী চলাচলের প্রবেশ ও প্রস্থানের পয়েন্টগুলিতে অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। সুরক্ষা ও সুবিধার জন্য প্রবীণ ব্যক্তি, মহিলা ও শিশুদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দৈনিক সহস্রাধিক ভক্তের আগমনের সাথে এই ব্যাপক ব্যবস্থাগুলি এই বিশাল আধ্যাত্মিক অনুষ্ঠানের সময় নিরাপদ, সুরক্ষিত, আরামদায়ক এবং দক্ষতার সাথে পরিচালিত তীর্থযাত্রার অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করার জন্য উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের একনিষ্ঠতাকে প্রকাশ করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *